জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'মানুষ ও প্রকৃতি'।

আপডেট: 2022-09-21 13:50:40

মানুষ ও প্রকৃতি

 

মানুষ সব নিজের তরে, নদ নদী খাল ভরাট করে
বন জঙ্গল সব কেটে ফেলে, অট্টালিকা গড়ে তোলে।

উজাড় হওয়া বন বনানী মরা নদী আর শুখনো খাল
আধমরা হয়ে বেচে আছে আর উল্লাসিত সব পশুর দল।
জীবিকা দাতা প্রকৃতি মাতা,
বেচে আছে ধুক ধুকিয়ে কোন মতে।
যেন বইছে না শ্বাস, কেবল মৃদু বাতাস
ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে রাখে দিনে রাতে।

যে সবাইকে বাচায়, এখন সে কয়েদখানায়!
হায়! যার জন্য বাচে সবাই, তার কোন বন্ধু নাই!

মানুষ যেন পুরো বেহুস, অকৃতজ্ঞ অজ্ঞান,
যার দানে বাচে প্রাণে, করছে তাকেই বলিদান!

এ ধরায় আমরা আর কিছু নয়, অসহায় আশ্রিত সবাই,
কিন্তু কর্ম করি যত সব তা প্রভুর মত, যেন নেই কোন দায়!
প্রকৃতিকে গোলাম ভেবে, করছে মানুষ রাজত্ব সবে।

আকাশ যখন রূষ্ট হয়ে, কালো মেঘে ফেলে ছেয়ে
মরা নদী কথা বলে, ফুঁসে ওঠে বানের জলে।
বাতাসকে সে সাথে নিয়ে, উগ্র মূর্তি দানব হয়ে
ভাঙ্গে দুপাড় ভাঙ্গে পাহাড়, যা কিছু সব উপড়ে ফেলে।

মানুষ পশু কেউ বাদ পড়ে না, কাররি সে ধার ধারে না।
ধ্বংসের নেশায় পাগল হয়ে, সব নিয়ে যায় সাথে বয়ে।

এসব কান্ড খানা, তা আর কিছু না,
বুঝতে হবে, দুনিয়া যার, এটা ধরণ বলার, তাঁর এ ভবে।

প্রকৃতি রুষ্ট হলে, এভাবে সে বজ্র কণ্ঠে কথা বলে।
সমুদ্র যেমন সা সা করে দিবারাতি,
তেমনি করে যে যার সুরে, সরব থাকে মুক প্রকৃতি।
বলছে চলে, মানুষ কেমন হলে, সে খুশী অতি।

এমন যদি হত, প্রকৃতির কথা যত
যদি বুঝত সবাই! এ সব অযথা নয়,
সব সহ তা অর্থবহ, নিসর্গ সদা যে কথা কয়।
তাহলে কি ভাল হত, এ নিসর্গতেই স্বর্গ হত!