জীবন থেকে নেয়া কাহিনী অবলম্বনে রচিত ছোট গল্প 'খেয়া ঘাটের মাঝি'।

আপডেট: ১৬ অগাস্ট ২০২২, ১৭:২২

খেয়া ঘাটের মাঝি

 

শুকনো মৌসুমে শীতটাও বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। সেদিন বেশ সকালে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে শহর থেকে আসা দু তিন জন অচেনা মানুষ খেয়া পার হয়ে আসলো। নৌকায় উঠার সময় চেয়ারম্যান সাহেব হেসে ‘পারাণ দা কেমন আছো’ বলে মাঝিকে জিজ্ঞেস করল।
সেদিন কেন জানি চেয়ারম্যানের সাথে অচেনা মুখ গুলোকে দেখে পরাণ মাঝির বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো।
-পরাণ দা, ওনারা আবার ফেরত যাবে, পাকা রাস্তায় গাড়ী রেখে এসেছেন। একটু রাত হলেও তুমি কিন্তু থেক ওনাদের পার করতে হবে।
মাঝি চিন্তাক্লিষ্ট বদনে মাথা নাড়িয়ে সায় দিল।

গ্রামের সাথে লাগোয়া গাঙটা। গাঙের পাড়ে অনেকখানি জায়গা জুড়ে জংলা তার পর গ্রাম। সে গাঙে খেয়া পারাপার করে পরান মাঝি।
বাবা জীবিত থাকতেই পরাণের হাতে খেয়ার দাড়টা তুলে দিয়েছিল। মা আগেই গত হয়েছে আর বাবা ছেলেকে বিয়ে দিয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই চোখ বুজল।
শীত আর বর্ষায় গাঙটার সম্পূর্ণ উল্টো দুটো আলাদা আলাদা চেহারা। শুকনোর সময় কোন রকম না মরে বেঁচে থাকে গাঙটা, তখন একপার থেকে গলা উঁচিয়ে ডাক দিলে ওপার থেকে শোনা যায়। আর ভরা বাদলায় দুকূল ছাপিয়ে সব ডুবিয়ে একদম অচেনা হয়ে যায় গাঙটা। এপার থেকে ওপারটা আবছা হয়ে যায়।
বর্ষায় শীর্ণ গাঙটা যখন ফুলে ফেঁপে আনন্দে ডগমগ করে। সে সময় নানা রকম মাছের আনাগোনা শুরু হয়। গ্রামের মানুষ তখন রাত দিন গাঙে মাছ ধরতে ব্যস্ত থাকে। ভরা গাঙের স্রোত দূর দুরান্ত থেকে গাছ গাছালি ভেঙ্গে সাথে করে ভাসিয়ে নিয়ে আসে। মাছের সাথে সাথে মানুষ বড় বড় গাছের গুড়ি ডাল ইত্যাদি সংগ্রহ করে তা থেকে জ্বালানি সহ ঘরদোর বাধার কাঠের চাহিদাও মিটায়।
গাঙের চেহারার সাথে সাথে গ্রামের মানুষেরও চেহারাও পাল্টায়। যে কোন সময় গাঙের চেহারা দেখলেই যে কেউ গ্রামের সাধারণ মানুষের অবস্থা আঁচ করতে পারে।

পাকা রাস্তা থেকে গ্রামটা অনেক ভিতরে, প্রায় পাচ মাইলের মত। তাই এ অঞ্চলের লোক ছাড়া কদাচিৎ ভিন গাঁয়ের লোক পারাপার হয়। সেই যৌবনে দাড় ধরে এখন এই পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব বয়েসে সব পারাপার রত মানুষের মুখ ওর চেনা। কালেভদ্রে কোন অচেনা কেউ পার হলে পরাণ মাঝির চোখ এড়ায় না।

চেয়ারম্যানের সাথে আসা অচেনা মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করে সারা দিন কাটল মাঝির। ওরা কেন এসেছে! কি করবে সারাদিন ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা মাঝিকে যেন পেয়ে বসলো।
সন্ধ্যা নেমে আসলো এ সময় মাঝি ঘাটে নৌকাটা বেধে বাড়ী ফিরে যায়। কিন্তু আজকের দিনটা অন্য দশ দিনের মত নয়। সে খেয়াটা ঘাটে বেধে ঘাটের উপর দাঁড়ানো একটা গাছের গোড়ায় হেলান দিয়ে বসলো।
তারা ভরা আকাশ। বোধহয় কৃষ্ণ পক্ষ চলছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতে সব চুপচাপ হয়ে কালো আঁধার যেন চারদিক গিলে ফেললো।
অন্ধকারকে ভয় পায় না মাঝি, কিন্তু আজ মনে হতে লাগলো যেন এ আঁধার অন্য রাতের আঁধারের মত নয়।

রাত আরো একটু কালো হলে বেশ কয়েকটা উজ্জল আলোর টর্চ লাইট জ্বালাতে জ্বালাতে হাসাহাসি করতে করতে কিছু মানুষজন ঘাটের দিকে আসতে দেখল মাঝি।
চেয়ারম্যান বলে ধারণা করে মাঝি বৈঠা হাতে দাড়াল।
-যাক পরাণ দা, তুমি আছো তাহলে। দেরী করা যাবে না, তাড়াতাড়ি আমাদেরকে পার কর। সারা দিন হাটাহাটি করে ক্লান্ত আর অনেক দূরের পথ পাড়ি দিবেন ওনারা।
সাথে আসা কয়েকজন গ্রামবাসী ওদেরকে বিদায় জানালো। চেয়ারম্যান সাহেব অতিথিদের নিয়ে খেয়াই উঠতেই পরাণ মাঝি কোন কিছু না বলেই দাড় চালিয়ে খেয়া ওপারে নিয়ে গেল।
-পরাণ দা, তোমার কষ্টের দিন শেষ হয়ে আসছে দ্রুতই।
মৃদু হেসে কথাটা বলতে বলতে চেয়ারম্যান তার পকেট থেকে টাকা বের করে পরাণ মাঝির ভাড়া মিটিয়ে বলল –আমি আজ আর ফিরবো না, তুমি চলে যেও পরাণ দা।
মাঝি খেয়াটা এপারে ভিড়ানোর আগেই যে কয়েকজন গ্রামবাসী চেয়ারম্যানের সাথে এসেছিল তাদের কাউকে দেখা গেল না।

-কিগো, রাতে না খেয়েই যে শুয়ে পড়লে? শরীর খারাপ করল নাকি?
বেশ রাত করে ফিরে কিছু না বলে হাতের দাড়টা ঘরের দেয়ালে হেলান দিয়েই খাটে শুয়ে পড়া দেখে মাঝির স্ত্রী, কাজল বেশ একটু শঙ্কিত হয়ে কথাটা জিজ্ঞেস করল।
-শরীর ঠিক আছে, কিন্তু আমার কিছুই ভাল লাগছে না। রাতে কিছু খাব না, তুমি খেয়ে নাও।
কাজল স্বামীর গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে পরীক্ষা করল গায়ে জ্বর আছে কিনা। গায়ের তাপ স্বাভাবিক দেখে সেও কিছু মুখে না দিয়ে সব ঢেকে রেখে মাঝির পাশে এসে শুয়ে পড়ল।
-সত্যি করে বল দেখি কি হয়েছে তোমার?
মাঝি কোন উত্তর না দেয়ায় তার স্ত্রী হারিকেনের জোর কমাতে কমাতে বলল
-ওপাড়ার কয়েকজন ঘাট থেকে ফেরার সময় আমাকে দেখে থেমেছিল, ওরা দেখলাম বেজায় খুশী, বলে গেল আজ সারাদিন চেয়ারম্যান সাহেব জেলার ইঞ্জিনিয়ার সহ গাঙের উজানে অনেকক্ষণ ধরে হাঁটাহাঁটি করে সব নক্সা একে নিয়ে গেছে। দুপুরে ওরা সবাই মিলে চেয়ারম্যানের বাসায় খাওয়া দাওয়াও করেছে। গ্রামের সবাই নাকি বেজায় খুশী।
স্ত্রীর কথায় শোয়া থেকে উঠে বসলো মাঝি। এক অজানা আশঙ্কায় ওর বুকের ভিতরটা দুরুদুরু করতে লাগলো।
-কেন খুশী তা কিছু বলল?
মাঝির গলায় আশঙ্কার সুর সুস্পষ্ট।
-হে গো, উজানে মানে উত্তর পাড়ার ওদিক দিয়ে নাকি গাঙের উপর বড় ব্রিজ হবে, রাস্তাও পাকা হবে, তাতে করে মানুষ সব গাড়ী করে গ্রামে যাতায়াত করতে পারবে।
মাঝি যেন গায়ের সব জোর হারিয়ে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল।
কিছু একটা হচ্ছে আশঙ্কা করেছিল মাঝি, কিন্তু এই গাঙের উপর ব্রিজ হবে সেরকম কিছু ওর মনের মধ্যে ছিল না।
-ওরা বলল যে কাজ নাকি অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হবে। আর একবার কাজ শুরু হলে মাস তিন চারেকের মধ্যেই ব্রিজ দাঁড়িয়ে যাবে।
তার এ কথাগুলো অন্ধকারে পাশে নিরবে শায়িত মাঝির মনের উপর কি রেখাপাত করছিল তা পুরোপুরি মাঝির স্ত্রীর নজর এড়িয়ে গেল।

দু পুরুষ ধরে পরাণ মাঝি এ গায়ে বাস করলেও এ গায়ে ওদের এক টুকরো জমিও নেই। যে ঘরটাতে ওরা থাকে এটা গাঙেরই অংশ, সরকারী জায়গা একদম জঙ্গলের ভিতর। ওর বাবা ভিনগাঁ থেকে এখানে এসে খেয়া’র দাড়টা ধরেছিল। এ গাঁয়ের মানুষ সবাই খুব ভাল। ওরা ভিনগাঁ থেকে আসা মাঝির বাবাকে ভালবেসে ঘাটের পাশে এ জায়গাটাতে ঘর বাধতে দিয়েছিল। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাটতে গ্রামের লোক ভয় পায়, কিন্তু মাঝির কোন ভয় করে না।
গ্রামের মানুষের মত এই গাঙটাও খুব দরদী। শুকনোর সময় পানি নেমে ওদের ঘর আর গাঙের মাঝে অনেক খানি জায়গা খালি করে দেয়। মাঝি আর ওর বউ মিলে সেখানে নানা পদের শাক সবজির চাষ করে। আর আজকাল বর্ষা তেমন না হওয়ার ফলে অনেক বছর যাবত ওদের ভিটেতেও পানি ওঠে না।

খেয়া চালানোর বিদ্যে ছাড়া মাঝির যে আর কিছু জানা নেই। ওই খেয়ার উপর নির্ভর করে ওরা বেঁচে আছে। ব্রিজ হলে খেয়া উঠে যাবে, তখন ওদের দিন চলবে কি ভাবে!
কথাটা চিন্তা করে মাঝির দম যেন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হল।
শোয়া থেকে উঠে বসলো মাঝি। ততোক্ষণে মাঝির স্ত্রীর চোখে কেবল ঘুম লেগে এসেছে।
মাঝি মৃদু ধাক্কা দিয়ে পাশে শায়িত স্ত্রীকে জাগানোর চেষ্টা করল।
আড়া মোড়া ভেঙ্গে স্ত্রী উঠে বসলো। ভাবল স্বামীর বোধহয় খিদে পেয়েছে।
-জানতাম তোমার খিদে লাগবে রাতে। মাঝির স্ত্রী খাট থেকে নেমে হারিকেনটার জোর বাড়ানোর জন্য পা বাড়াল।
-নারে বউ খিদে না। আমাদের বোধহয় বাঁচার আর কোন উপায় থাকল না!
মাঝির স্ত্রী হারিকেনের জোর বাড়িয়ে স্বামীর মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল।
-কি বলছে মাঝি! কেন বাঁচার উপায় নেই! চোখ ছানাবড়া করে ভাবল কাজল।
খেয়া থেকে যে টুকু ইনকাম হয় তার সাথে আঙ্গিনার শাক পাতা আর মাঝে মধ্যে গাঙ থেকে যে মাছ ধরে তা দিয়ে ওদের দিব্যি চলে যায়। কি এমন হল যে মাঝি এসব কথা বলছে!
ওদের একটা ছেলে আছে। ওরা ভেবেছিল ছেলেটা বড় হলে সেইই ওদের পায়ের নিচে একটু মাটির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কপালের কি ফের, প্রায় বছর তিনেক হল একটা মেয়েকে বিয়ে করার পর ছেলেটা মা বাবাকে ভুলে নিজে সংসার পেতেছে ভিন শহরে। ভুলেও সংবাদ নেয় না।
মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে গেলে মাঝ রাতে মাঝি আর ওর স্ত্রী আফসোস করে –ছেলেটা না থাকলেই বোধহয় ভাল হত। না থাকলে থাকার আনন্দ বোঝা যায় না কিন্তু থেকে হারিয়ে গেলে স্বপ্নটা ভেঙ্গে খান খান হয়ে বাঁচার আশাটা যে হারিয়ে যায় বউ।
ওরা জানে এ গাঁয়ে ওরা ভিনদেশী। শহরে বিভিন্ন জায়গার মানুষ বসতি গড়ে বাস করে, তাই শহরটা সবার। কিন্তু গ্রামের মানুষ হতে হলে জন্মগত সূত্র ধরেই কেবল গ্রামের বাসিন্দা হওয়া যায়। মাঝি বোঝে এ গাঁ কোন দিন তাদের ছিল না আর হবেও না। এ গাঁয়ের মানুষ তাদেরকে শুধু মাত্র বেঁচে থাকার জন্য সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে।
একমাত্র এই গাঙটাই ওদেরকে আপন করে নিয়েছে। বিধাতা জীবন দিয়েছে আর তাঁর সৃষ্টি এই গাঙই ওদেরকে জীবিকা দান করে বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রকৃতি ছাড়া ওদের আপন জন বলে আর কেউ নেই।
বিধাতা নিজের পরিকল্পনা মত ওদেরকে তাঁর এই পৃথিবীতে এনেছেন। তাইতো বাঁচার জন্য তাঁরই সৃষ্টি এতকাল ওদের সহায় হয়েছিল। কিন্তু আজ যখন মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য তাদেরকে সাহায্যকারী প্রকৃতির অবারিত হাত দুটোকে বেঁধে দেয়ার প্রয়াসে ব্যস্ত তখন প্রকৃতির সন্তান পরাণ মাঝি আর তার স্ত্রী এখানে থাকার আর কোন ভরসা খুজে পাচ্ছে না।
-বউ যা আছে গুছিয়ে নে তাড়াতাড়ি। চল, খেয়ায় উঠে বসি। গাঙের উপরটা শান্ত দেখালেও নিচে এখনো ভাটির দিকে ধীর গতিতে স্রোত বয়। উপর দেখে তা কেউ না বুঝলেও আমি তা বুঝি। চল, আমরা দুটি প্রকৃতির সন্তান না’য়ে বসে প্রকৃতির সে টানের কাছে নিজেদেরকে সমর্পণ করি। ভাসতে ভাসতে খেয়াটা আমদেরকে যেখানে নিয়ে যায় যাক।

পরদিন সকালে শহর থেকে ফিরে খেয়া পার হওয়ার জন্য ‘পরাণ দা পরাণ দা’ বলে ওপার থেকে হাঁক ডাক শুরু করলেন চেয়ারম্যান সাহেব। এপার থেকে গ্রামের লোক তা দেখে পরাণ মাঝিকে ডাকতে ওর ভিটেই যেয়ে ওদের শূন্য ঘর দেখে ফিরে চেয়ারম্যানকে জানালো।
অন্য নৌকায় করে পার হয়ে আসলেন চেয়ারম্যান সাহেব।
এখানে যে রাস্তা হচ্ছে সেটা দুটো জেলার সংযোগকারী চার লেনের রাস্তা, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের অর্থায়নে রাস্তার কাজ হবে। তার জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে তারা জমির দামের কয়েকগুন বেশী দাম পাবে। আর এই যে ব্রিজটা হবে তার জন্য ব্যবসায়িক ভাবে একমাত্র পরাণ মাঝি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াই তাকে অনেক টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
-এটা কি করল পরাণ দা! চেয়ারম্যান সাহেব ভেবেছিলেন আজ সকালে খেয়া পারাপারের সময় পরাণ দা’কে সংবাদটা দিয়েই তিনি পরিষদে বসবেন।
-এমন সাহসী একটা মানুষ মাঝি, সারা জীবন জঙ্গলে কাটাল আর শেষে কিনা তাকে বনের বাঘে না মনের বাঘে খেয়ে ফেলল!
মানুষের মনটা বড়ই বিচিত্র, সব সময় অতীতের কষ্ট গুলোর আলোকে অধিকতর খারাপ ভবিষ্যতের আশঙ্কা করে ভিতরটা ভেঙ্গে দুমড়িয়ে আতঙ্কিত করে রাখে। পরাণ মাঝি সদা বিভ্রান্তকারী মনের কাছে পরাভূত না হয়ে যদি তাকে আশ্রয় দানকারী এ গ্রাম, গ্রামের মানুষ আর সর্বোপরি জীবিকা দানকারী এ গাঙের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মনটা ভরাতে পারত তাহলে তাকে এভাবে বুক ভরা ব্যথা নিয়ে মরে বাঁচতে হত না।
কৃতজ্ঞতা হচ্ছে অযথা আশঙ্কা সৃষ্টিকারী মনের একমাত্র মহৌষধ।
পরাণ মাঝির শুন্য ঘরের দিকে তাকিয়ে বুকটা ব্যথায় টনটন করে উঠলো চেয়ারম্যান সাহেবের।