Heading
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:০৪
দ্বারের এপার, আমি নশ্বর, বন্দি জেলে,
ঈশ্বর তুমি ওপারে, রেখেছ এপারে দাসেরে ফেলে।
ভাবি দাঁড়িয়ে দুয়ারে, নাড়বো কি কড়া জোরে
ভাবি, পাছে যদি ঘরে, না থাক ভিতরে!
বাইরে দাঁড়িয়ে আমি দ্বিধান্বিত, ভিতরে তুমি চির উন্নত
নাড়লে পরে কড়া, জানি দেবে তুমি সাড়া
তবু কেন এত দ্বিধা, কেন মন দেয় বাধা!
বোঝ তুমি জানি, দাড়িয়ে বাইরে আমি, ঝড় জল রোদে
রয়েছি তোমারই প্রতিক্ষা করে।
খোল না কেন দ্বার? কেন বোঝ না কষ্ট আমার!
আমি যে যাব তোমার ঘরে।
না যদি খোল দ্বার, যদি দেখতে না চাও বদন আমার
তবে কথা হোক হৃদয়ে হৃদয়ে।
ঝড় জল রোদ, পারে যতক্ষণ, করুক নিঃশেষ এ শরীর মন
দেনাদার আমি, মহাজন তুমি, মিটাও তব ঋণ নিঙড়ায়ে নিঙড়ায়ে।
না মিটালে ঋণ সারা, তুমি দেবে না ঈশারা, খুলবে না দ্বার জানি
তুমিই কেবল শাশ্বত, আমি অনিত্য, মানি না মানি।
জানি কাদা মাটি গন্ধ, তোমার খুবই অপছন্দ
কথা দিলাম তোমায়, আসবো মিটায়, যত ঋণ যত দ্বন্দ্ব।
ভিতরে সদা বসি, আকুতি করে দিবানিশি,
ঢুকতে তোমার ঘরে যে কোন ছলে।
সেযে আটকা ভিতরে, আসিতে না পারে বাহিরে,
কেবলি ধুকধুকিয়ে বলেঃ
চায়না আমি ওরে, থাকতে এ কাদা মাটি ঘরে
আবাস যে আমার দ্বারের ওপারে।
দ্বারের ওপারে বসি, জানি ভাব আমারই কথা দিবানিশি
নিজেকে আমি, করি টানাটানি, আসিতে আমার বাহিরে।
বাহির হলেই জানি, তোমার বন্দ দুয়ার খানি
আটকাবে না মোরে।
শরীরে মিলিতে আমি, পারবো না জানি
বাধা দেবে দ্বার, ঘরের তোমার।
না পারিলে জ্ঞানে, মিলিবো আমি ধ্যানে
না আমার ঘর, না তোমার দুয়ার
ঠেকাতে পারবে না কভু, তোমার আমার মিলন প্রভু।