জীবন থেকে নেয়া কাহিনী অবলম্বনে রচিত ছোট গল্প 'নিয়তির বেড়াজাল'।

আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৩:১৩

নিয়তির বেড়াজাল


প্রথম দেখাতেই নুরির প্রেমে পড়ে গেল বাবুল।
এদেশে জন্ম হলেও বিদেশেই লেখাপড়া করেছে সে। বিদেশে নামি দামী ইউনিভারসিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছে মাস খানেক হল। এ যাবত প্রতি বছরে দু একবার দেশে আসলেও বেশী দিন থাকতো না, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে হই হুল্লোড়ে মেতে থেকে আবার ফিরে যেত।
বাবুল ওর বাবা কামরান চৌধুরীর মতই স্বভাবগত আমুদে মানুষ। তেমন কোন অছিলা ছাড়াই আনন্দে মেতে উঠতে পারে।
এবারে পড়াশোনা শেষে বাবা ছেলেকে নিয়ে এসেছে দেশে, যাতে সে ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রির সব কিছু বুঝে নিতে পারে।
বাবুলের থেকে বড় আরো দুটো বোন আছে। তারাও স্বামী সংসার নিয়ে বিদেশে বসবাস করে। বিভিন্ন সময় যাতায়াতের মধ্যেই দেশের সাথে সম্পর্ক রাখে তারা।
বাবা মায়ের বিশেষ বাধ্যগত ছেলে বাবুল।
শহর থেকে প্রায় দুশো কিঃমিঃ দূরে প্রায় একশ একর সম্পত্তির উপর নির্মিত ওদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি। কমপ্লিট টেক্সটাইল বলা যায়, স্পিনিং, ডায়িং, ফ্যাব্রিক, গারমেন্টিং সব ইউনিটই আছে। অর্থাৎ তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড় তারপর গারমেন্টিং করে বিদেশে রপ্তানি।
ইন্ডাস্ট্রির সাথেই লাগোয়া প্রায় দশ একর জমির উপর ওদের একটা বাগান বাড়ী। ফুল আর ফলের বাগানের মাঝে সুরম্য প্রাসাদ।
বাবা মা শহরের বাড়ীতে থাকলেও মাসে দুএকবার নিয়মিত ভাবে বাগান বাড়ীতে রাত্রি যাপন করেন। তাছাড়া যে কোন পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ওরা বাগান বাড়ীতেই করে থাকে।
বাগান বাড়ীটা বাবুলের খুব পছন্দ।

দেশে আসার পর থেকে বাবুল এ বাগান বাড়ীতেই অবস্থান করে। বাবাও তেমন আপত্তি করেননি কারণ এখানে থাকলে ছেলে ইন্ডাস্ট্রির কাজ গুলো নীবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
প্রতি ইউনিটের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের ধরণ জানতে বাবুলের প্রায় ছয় মাস লেগে গেল।
এ সময়ের মধ্যে ও দু একবার শহর থেকে বেড়িয়ে আসল। বাবা সপ্তাহে দু তিন দিন এখানে অফিসে বসেন আর ছেলে আসার পর ওর মা প্রতি সপ্তাহে কয়েকদিন করে ছেলের সাথে বাগান বাড়ীতে থাকতে শুরু করলেন।
বাবুল সারাদিন কোন না কোন কারখানার কাজ বুঝতে ব্যস্ত থাকে। সকালে নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে দুপুরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কোন একটা ইউনিটের মেসে খেয়ে নেয়।
সন্ধ্যার পর খেলাধুলা করে বাসায় ফিরতে রাত হয়। ভিতরেই লন আর টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন সহ ফুটবল, ভলিবল সব ধরনের খেলার ব্যাবস্থা আছে।

গত ছয় মাস ধরে এই পরিচিতি মূলক দৈনন্দিন সূচি পার করে একেবারে শেষের দিকে গারমেন্টিং ইউনিট পরিদর্শনের প্রথম দিনই নুরিকে দেখল বাবুল।
গারমেন্টিং সেক্টরে প্রায় হাজার খানেক ছেলে মেয়ে কাজ করে। ব্রিফিং শেষে দুপুরে ব্রেকের পর বাবুল কাটিং সেকশানে নিমগ্ন অবস্থায় কাটিং কাজ তদারকিরত নুরিকে প্রথম দেখে বাবুল।
ফ্লোর ম্যানেজারের নির্দেশে নুরি কাটিং সেকশানের কাজের বর্ণনা দেয়।
পুরো বিকেলটা বাবুল সেখানেই কাটিয়ে দিল।
তারপর ওর কি যে হল তা বাবুল নিজেও বুঝতে পারল না। সেদিন বিকেলে খেলাধুলা না করেই সরাসরি বাংলোই ফিরে গেল।
এ যে রুটিনের ব্যতিক্রম তা সবাই বুঝল। কিন্তু কেন সে ব্যতিক্রম তা কেউ বুঝল না, বোধকরি বাবুল নিজেও না।
এ বয়সেই বলতে গেলে সারা পৃথিবী ঘুরে দেখেছে বাবুল। কত মেয়েকে দেখেছে কিন্তু কখনো এমন হয়নি।
সে দিন থেকে বাবুল ফ্যাক্টরি পরিদর্শন বাদ দিয়ে নিজের অফিসে বসতে শুরু করল। সারাদিন অফিসে বসে একাকী সময় কাটিয়ে বিকেলে বাংলোই ফিরে যায়।
ছেলের এহেন পরিবর্তনের খবর বাবা মায়ের কানে গেলে তারা ছুটে আসলেন বাগান বাড়ীতে।
বাবা মায়ের সামনে বাবুল কেন যেন একজন অপরাধীর মত আচরণ করতে শুরু করল। ভাল ভাবে কথা না বলে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে লাগলো। অবাক হলেন বাবা মা দুজনই।
ছেলেকে শহরের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করলে বাবুল কিছুটা অধৈর্য হয়ে উঠলো।
-তার থেকে না হয় বিদেশ ফিরে যায়!
ছেলের এহেন গোমড়ামুখি আচরণে হতবাক হয়ে গেলেন ওর বাবা মা।

-কি হল ওর! নিজেকে নিয়ে গভীর ভাবে ভাবল বাবুল। মা বাবার সাথে রূঢ় আচরণের জন্য আফসোস হল মনে মনে।
-বাবা মা কত আদরে, কত আশা নিয়ে ওকে মানুষ করেছে। ওকে নিয়েই তাদের পৃথিবী সে কথা বোঝে বাবুল। কিন্তু কথাটা কি ভাবে বলবে তাদের! আর কি ভাবেই বা নুরিকে বলবে তার মনের কথা!
-কেন এমন হল, কি দেখল মেয়েটার মধ্যে! তাছাড়া নুরিরও পছন্দ অপছন্দের বিষয় আছে, আর নুরি যদি বিবাহিতা হয়!
ভেবে ভেবে কোন কুল কিনারা করতে না পেরে নিজেকে পুরোপুরি ঘর বন্দী করল বাবুল।
-এ হয় না, হতে পারে না। যোজন যোজন দূরে ওদের অবস্থান। এ মিলন যে হওয়া সম্ভব নয়!
ভাবল -নুরির যদি মত থাকে তাহলে সে যে কোন বাধা অতিক্রম করতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু নুরির সাথে যোগাযোগ করা যে কোন ভাবেই সম্ভব না।
সে ভাবেই দিন কাটতে লাগলো। বাবুল নিজেকে একদম গুটিয়ে রাখল।
বাবা কামরান চৌধুরী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খুটিয়ে খুটিয়ে সব জানার চেষ্টা করলেন। তিনি এতটুকু আঁচ করলেন, যা কিছু ঘটুক সেদিন ওই কাটিং সেকশান পরিদর্শনের সময় ঘটেছে।
-কিন্তু কি ঘটতে পারে, সে বিষয়ে কোন ক্লু বের করতে পারলেন না।
সেদিন রাতে বাগান বাড়ীতে ছেলের ঘরে নক করলেন কামরান চৌধুরী।
চিন্তায় মগ্ন বাবুল ধড়ফড় করে উঠে দাড়াল। মাথা নিচু করে এমন ভাবে দাড়াল যেন বড় কোন অপরাধে অপরাধী।
-খোকা, তুই আমাদের একটাই ছেলে, তোকে আমি কতটুকু ভালবাসি সেটা তুই বুঝিস কিনা জানিনা। কিন্তু তোর এ মনের অবস্থা দেখে আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।
তিনি ছেলের কাঁধে হাত রাখলেন- আমাকে বল কি হয়েছে? আমি কথা দিচ্ছি, তোর এ কষ্ট লাঘবের জন্য যদি আমার জীবনও দিতে হয় তাহলে বল, আমি নিরবে চলে যাব কেউ কিছু জানবে না।
-না বাবা, তুমি আমাকে ভুল বুঝ না। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল বাবুল।
অশ্রু শিক্ত নয়নে অসহায়ের মত কামরান চৌধুরী দাড়িয়ে রইলেন।
-বাবা আমি তোমাদেরকে একদম কষ্ট দিতে চায় না। আমার কোন কাজ তোমাদের মানহানিকর হোক সেটা আমি জীবনের বিনিময়েও করতে চায় না।
-কি হয়েছে আমাকে বল খোকা! নিঃসঙ্কোচে বল।
-বাবা আমি কাটিং সেকশানের একটা মেয়েকে ভালবেসে ফেলেছি। আমি জানি এটা সম্ভব না। কিন্তু কেন এমন হল তা কিছুতেই নিজেকে বুঝাতে পারছি না।
বাবার আশ্বাসে সব কিছু খুলে বলল বাবুল।
-বাবা, তুমি যা বলবে আমি তাই করব।
আচমকা ছেলের এমন একটা কথা শুনে কামরান চৌধুরী পাশের সোফার হাতলটা ধরে বসে পড়লেন। ছেলের দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামলে নিলেন তিনি।
বাবুল মাথা নিচু করে থাকায় বাবার মুখের উপর ভেসে ওঠা বেদনার চিহ্ন একদম দেখতে পেল না। কামরান চৌধুরী ছেলেকে পাশে বসিয়ে ওর অবনত মাথায় স্নেহের হাত রাখলেন।
-ঠিক আছে খোকা, তোর আর কিছু চিন্তা করতে হবে না, যা করার আমিই করব।

নুরি এবং তার পরিবারের সম্মতিতে সমস্ত সামাজিকতা সম্পন্ন করে হাসি মুখে ছেলেকে বিয়ে দিলেন তিনি। সেদিন থেকে সদা হাসি রসে আর প্রাণশক্তিতে ভরপুর কামরান চৌধুরী যেন তার স্বভাবগত স্বতঃস্ফূর্ততা হারিয়ে ফেললেন।
অজ পাড়া গায়ের দরিদ্র বাবার অল্প শিক্ষিত অনিন্দ্যসুন্দরী নুরি দেশের বিশিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট কামরান চৌধুরীর উন্নত বিশ্বে লেখাপড়া করা ছেলে বাবুল চৌধুরীর স্ত্রী হয়ে কুড়ে ঘর থেকে উঠে বিশাল প্রাসাদের বাসিন্দা হল।
বাবুলের বাবা মা তাদের একমাত্র ছেলে বউকে যত টুকু আদর আপ্যায়ন করার কথা তাতে একটুও ঘাটতি রাখলেন না। বাবুল তার সমস্ত ভালবাসা উজাড় করে নুরিকে আমৃত্যু ভালবেসে যাওয়ার আশ্বাসে ওদের জীবন শুরু করল।

নুরির মা বাবা আর ওর ছোট ভাইটা প্রথম প্রথম কয়েকবার প্রাসাদে যাতায়াত করলেও কিছু দিনের মধ্যে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় ধীরে ধীরে যাতায়াত প্রায় বন্দ করে দিল।
গ্রামের নুরি তার সব বন্ধু বান্ধবী জানা শোনা মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দাস দাসিদের সেবাই আবৃত হয়ে স্বামীর অকৃত্রিম ভালবাসার দোলায় চড়ে দিন কাটাতে লাগলো।
বাবুল তার স্ত্রীকে নিয়ে মাস তিনেকের জন্য বিদেশ ঘুরে আসলো।
কিন্তু কিছুতেই নুরির মধ্যে সেই প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনতে পারল না।
প্রাসাদের মর্মর পাথরে গড়া শিতাতাপ নিয়ন্ত্রিত দেয়ালের মধ্যে হাফিয়ে উঠলো নুরি। কালেভদ্রে ওর ছোট ভাইটি আসলে ওর কাছ থেকে তার বন্ধু বান্ধব আপন জনদের সুখ দুঃখের নানা খবর শুনে মনটা উদ্বেলিত হয় নুরির।
কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও সে এ বাড়ীর কারো সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারে না। কি করবে নুরি! সে যে আভিজাত্য আর প্রাচুর্যের বেড়াজালে বাধা।
বাবুল আর তার পরিবারের কাররি ভাব ভালবাসাই কোন ফাঁক না থাকলেও মন মানসিকতার যে ফাঁক তা ঘুচানোর সাধ্যি কার!
নুরির ছোট কালের এক বান্ধবীকে ওর স্বামী তালাক দিয়েছে এখন সে পরের বাড়ীতে কাজ করে জীবন চালায়, আর এক বান্ধবী দুরারোগ্য অসুখে ভুগে চিকিৎসা অভাবে মারা গিয়েছে এখন তার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দেখার কেউ নেই।
এ ধরনের সংবাদগুলো নুরির কানে আসলে ব্যথাই ওর বুক ফেটে যায়, মনে হয় এখুনি ছুটে সেখানে যেয়ে চিৎকার করে কেঁদে কেটে মনে জ্বালা একটু জুড়িয়ে আসুক।

বিয়ের এক বছরের মাথায় নুরির কোল জুড়ে ফুটফুটে একটা ছেলে সন্তান আসলো।
নুরিকে নিয়ে বাবুল মাঝে মাঝে বাগান বাড়ীতে আসে থাকে কয়েকদিন। পুরনো কাজের জায়গাটা দেখার জন্য নুরির মনটা ছটফট করে। কিন্তু কিছু করার নেই ওটা যেন এখন নুরির জন্য নিষিদ্ধ কোন জায়গা। সারাদিন কেবল বাংলোর বিশাল বাগানে ঘুরে ওর সময় কাটে। ওর হাজার স্মৃতি বিজড়িত জায়গাটা কত কাছে কিন্তু যাওয়ার কোন উপায় নেই।

সেদিন সন্ধ্যার পর বাবুল আর নুরি বাংলোর খোলা বারান্দায় বসা। ওদের ছেলেটা তখন দু বছর ছাড়িয়েছে। ও নিচে লনে খেলছে, দুজন আয়া আছে ওর সাথে। সারাক্ষন দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াই, খুব হাসি খুশি চঞ্চল হয়েছে ছেলেটা। বাবুল আর ওর বাবার স্বভাবটা পেয়েছে ছেলেটা। এ পরিবারে এখন একমাত্র ছেলেটাই সব ব্যাপারে স্বতঃস্ফূর্ত। বাকিরা সবাই আন্তরিক কিন্তু যেন প্রাণহীন।
হটাৎ করে ল্যান্ড ফোনটা বেজে উঠলো। বাবুল ঘরের ভিতর গিয়ে ধরল। বেশ জোরে জোরে কথা বলছে ও। কিছু একটা হয়েছে বুঝে নুরিও ঘরের ভিতর ঢুকে দাড়াল।
গার্মেন্টসের একটা বিল্ডিঙয়ে আগুন লেগেছে। একটা শিফটমেন্ট সময় মত শেষ করার জন্য সবাই অভার টাইম করছিল। গার্মেন্টস সেকশানের সব বিল্ডিং আর যারা কাজ করে তাদের অধিকাংশকেই চেনে নুরি। ওর বুকের ভিতরটা দপ করে উঠলো।
বাবুল খুব ব্যস্ত হয়ে সংক্ষেপে ব্যাপারটি নুরিকে জানিয়ে বেরুবে বলে ড্রাইভারকে গাড়ী বের করতে বলল।
বাবুল চটপট রেডি হয়ে নিচে নামলো। নুরিও নামলো সাথে।
গাড়িতে উঠার আগে বাবুল তাকাল নুরির মুখের দিকে। সেখানে আশংকার ছাপ সুস্পষ্ট।
- তুমি কি যেতে চাও নুরি?
ঠিক তখনি ওদের ছেলেটা লনের ভিতর থেকে দৌড়ে গাড়ীর কাছে আসার সময় হোঁচট খেয়ে পাকা রাস্তার উপর পড়ে ওর কপাল আর হাটু কেটে রক্ত বেরতে লাগলো। সে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করল।
বাবুল আর নুরি তাড়াতাড়ি দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে উঠাল।
আয়া দৌড়ে ফার্স্ট এইড বক্সটা আনলে নুরি তুলো দিয়ে ছেলের রক্ত মুছে দিয়ে ওকে কোলে তুলে নিল।
ঘটনার আকস্মিকতাই বাবুল আর নুরি নিয়তির বেড়াজালে আবদ্ধ দুটি প্রাণ অসহায় দৃষ্টিতে একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীর সাইরেনের শব্দে ওদের সম্বিত ফিরল।
-আমি যেয়ে ডাক্তার পাঠাচ্ছি, তুমি বাবুকে দেখ।
বাবুল নীরবে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে গেল।