জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'বিধাতার অতিথি'।

আপডেট: ১৮ মে ২০২৩, ১২:২৫

বিধাতার অতিথি

 

যে যাই হোক, এ বিশ্বলোক যদি বিধাতার হয়
তবে তাঁর এ ধরায়, অতিথি আমরা সবাই।

ভাবি নিজ মনে, আসেনি কেউ এখানে, নিজ ইচ্ছেতে
মার ধর বা দয়া দাক্ষিণ্য যে যাই কর
এখানে কোন কিছুই হয়না কারো, নিজ মতে।

জন্মে ধনবান ঘরে, শেষে অর্থাভাবে মরে
আবার জন্ম যার দারিদ্রতার আতুরঘর
পেয়েছে সে ধন পেয়েছে সম্মান শাহানশার
দুয়েরই প্রমান আছে ভুবন ভরে।

না শিশু, না তার মা, বা অন্য কারো আছে ক্ষমতা
আগে থেকে জানা সে কথা।

আসা খালি হাতে, যাবেও কিছু না নিয়ে সাথে
কেউ না বললেও সে কথা, দেখে শুনে সবে জানে তা।
যেতে নিশ্চয় হবে, তবে জানে না কখন কে যাবে কবে!

শুরুটা কারো চাওয়া না, শেষটাও পুরো অজানা
মাঝে যা ঘটে, সব তা অনিশ্চিত বটে।
সবে বলে কর্মফল, যত ধান ততো চাল
কিন্তু সবার জানা, সে কথা স্বতঃসিদ্ধ না।

ভাগ্য করে খেলা, বিধাতার নামে সারাবেলা
যা ইচ্ছে তিনি করেন তা,
না হলে তিনি কোন বলে বিধাতা!

অসহায় হয়ে এ ভবে, আসে সবে তাঁর খেলাঘরে
আবার অসহায় হয়ে মরে।
ঠিক আসার মত শেষে, চলে যায় বিনা কোন বেশে
মাঝেরটা মায়ার জালে বাধা, নিরেট ধাঁধাঁ, কাটে কেঁদে হেসে।

আমি কেবল আকাশ দেখি! ভাবি এ জীবনের মানে কি!
বিনা বেশে আসে, এ ধরায় যা পায় হাতের পাশে
নিয়ে তা দিয়ে লজ্জা ঢাকে, দেহ মন আনন্দে রাখে।
অজানা দেশ থেকে এসে, চলে যাওয়া অজ্ঞাত দেশে!