জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'আত্মা ও শরীর'।

আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১৩:৪১

আত্মা ও শরীর

ভয়ে ভরা জীবন, দুরু দুরু করে মন সারাক্ষণ।
যে ভয় সব থেকে বড়-
জীবনটা না চলে যায়, সে ভয়ে সব সময়,
সবাই থাকে জড়সড়।

গাছ তলায়, অট্টালিকায়, বা মহাকাশে বাস করে বলে
জীবন যাবে কি যাবে না, তা কখনো হয় না কোন কালে।

এ জগতে জীবন যত, চলে যাবে সব ঠিক সময় মত
যাওয়ার ক্ষনে, চায়বে না কারো পানে
যাওয়ার সময় হলে, টুপ করে যাবে সে চলে।

যদি কেউ যেতে চায় ওপারে, একটু আগে বা পরে
তা কখনো হয়না,
কোনদিন কোন ছলে, তা হয়েছে বলে,
নেই কারো জানা।

সে কেবল এখতিয়ার, মহাশক্তি বিধাতার।
এ ভবে, কখন কে আসবে যাবে
তা তিনি ঠিক করে, সব হয় তাঁর বিচারে।

ভয় হয় বা না হয়, থাকে কুড়ে ঘরে বা অট্টালিকায়
সময় হলেই, কাউকে কিছু না বলেই
সবাইকে চলে যেতে হয়।

পৃথিবীর ডাক্তার পৃথিবীর আহার, পৃথিবীর যন্ত্র পৃথিবীর যান
এতো সব পার্থিব জ্ঞান, শারীরিক সমাধান।

ডাক্তার জানে পার্থিব জ্ঞানে, শরীরের কি রোগ
ওষুধে সারে অসুখ, আর দূর হয় কষ্ট ভোগ।
মানুষের জ্ঞান প্রযোজ্য, যা কেবল ইন্দ্রি়য়গ্রাহ্য।
পৃথিবীর সব জ্ঞান, কেবল পার্থিব বিধান,
আর সেগুলির সমাধান।

যা কিছু শরীর, সবই তার গোলকধাঁধাঁ,
জীবনকাল সময়ে বাধা।
সবই তো তাই, শেষ হয়ে যায়।

আত্মা, সেত স্বর্গ থেকে আসা, শরীরে বেধেছে বাসা
শরীর কথা কয়, সে থাকে যত সময়।
কখন এ ভবে, সে আসবে যাবে,
তা সব স্বর্গ ঠিক করে দেয়।

আত্মা সেত শক্তির আঁধার, অংশ মহাশক্তি বিধাতার
বসে বক্ষ ঘরে, প্রতিক্ষণ ধুকধুক করে
নেই কিছুতে আসক্তি, চায় শুধু মুক্তি জীবন ভর।