Heading
আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ১৩:৪৬
তুমি প্রভু অমর্ত্য, আমি আশ্রিত প্রেষ্য মাত্র,
আমি অধম অনিত্য, তুমি চিরায়মানা শাশ্বত।
চিরায়ু তুমি স্বর্গ ছেড়ে, আসলে আমার অচির নীড়ে!
তোমার প্রেমে মত্ত হয়ে, আমি কে তা ভুলে গিয়ে
কাগজ দিয়ে নৌকা গড়ে, সাগরিকায় দিলাম ছেড়ে।
তুমি রাজ অধিরাজ এলে দাসের ঘরে!
বিভোর হলাম স্বর্গ ঘ্রাণে, মত্ত আমি তাঁর যতনে।
সূর্যের তাপ তীব্র অতি, তাতে মোমের বাতি
কি করে তা জ্বলতে পারে!
তুমি অগাধ তুমি অতল, আমি জল কাদা মাত্র
মিটাতে তোমার স্বাদ, নেই প্রসাদ, নেই অর্ঘ্যপাত্র।
আমার ঘরে তোমায় পেয়ে, মায়ার জালে বন্দী হয়ে
কাটল আমার জীনবভর, তবু কাটল না সে নিগূঢ় ঘোর।
জানি যা ছিল মোর, তা সব জীর্ণ জরা
তবু আপন মনে দেয়ার ধ্যানে, ছিলাম আমি আত্মহারা।
আমি কে! তা গেলাম ভূলে, সুখি তোমায় করব বলে।
গেলাম ভুলে এ মায়ার ভবে, কি পেলে তুমি খুশী হবে!
আমি অধম বোকার রাজা, নেব মেনে তুমি যা দেবে সাঁজা।
যা ছিল এই দাসের ঘরে, সব তা উজাড় করে তোমায় দিলাম
কি যে দিলাম না দেখে তা, দিয়েই কেবল তৃপ্ত হলাম।
দিনে দিনে, আমি অধম মনে মনে
তোমার অবয় ভুলেই গেলাম
নিজ অবয়ে তোমায় আমি গড়ে নিলাম।
ভরার নামে পাত্র তোমার, ভরে নিলাম ভান্ড আমার।
তোমার মত হব বলে, তোমার মত হওয়ার ছলে,
পরে তোমার ভূষণ উপর উপর, আমিই রলাম ভিতর ভিতর।
তৃপ্ত হল ষড়রিপু, আনন্দেতে ভরল আমার লোভী বপু।
তোমার নামে তৈরি তীরে, শত্রু আমার ধীরে ধীরে
করি নিপাত একে একে জীবন ভরে।
সময় যে মোর ফুরিয়ে গেছে, বেলা আমার ডুবে গেছে
একি! এখন দেখি,
যা দিলাম তার, কিছুই যে চায়না তোমার!
তোমার নামে করেছি যা, সব ছিল তা, মুখে মুখে
বুঝি এখন, যা করেছি সারা জীবন, সব তা আমার সুখে!
একটু যদি সময় পেতাম! তবে সব সুধরে নিতাম।
তোমার ধ্যানে মগ্ন থেকে, তোমার ছবি হৃদয়ে এঁকে
মোহ মায়ার জাল ছিড়ে ফেলে, দিব্য চক্ষু দিতাম খুলে
হৃদয় মাঝে তোমায় নিতাম, তোমার মাঝেই বিলীন হতাম।