Heading
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৫
গর্জিছে মেঘ গুরু গুরু,
নামিছে আঁধার না হতেই দিন শুরু।
কখন না জানি, ফাটিবে আকাশ খানি,
করিছে বুক দুরু দুরু।
সমুখে নদী বহিছে নিরবধি,
নিরজনে নিজ বাটে।
বুড়ো মোটা এক বটবৃক্ষ গোটা,
দাঁড়িয়ে উচু তটে।
নদী কুলে নির্জন সে বটমূলে,
বসে এক কৃশাঙ্গ দেহ।
নিরম্বু উপোস অনাহারী, অস্থিসার পক্ককেশধারী
শতায়ু এক পথিক কেহ।
কুঠুরিগত ছোট চোখ দুটো, রক্তিম লাল
দেখে মনে হয়, অতি অসহায় গায়ে নেই বল।
সমুখে জল বহিছে কলকল,
বসি উঁচু তটে, পিপাসায় বুক ফাটে
কিন্তু অনেক নিচে সে নদী তল।
দাঁড়িয়ে পাড়ের উপরি
বটবৃক্ষ নামিয়ে তার লম্বা ঝুরি,
শুষিছে জল অবিরত ইচ্ছেমত, দেহ মন ভরি।
কিন্তু হায়! তৃষিত পথিক কৃশকায়,
জলে নামার শক্তি তার নাই।
সমুখে নদীতে জল, করে টলমল,
ঝুলিছে গাছে পাকা বট ফল।
নিচে আধা শুয়ে, গুড়িতে ঠেস দিয়ে,
নিরম্বু উপোস অতিশয় দুর্বল, এক জীবন্ত কঙ্কাল।
আশা নিয়ে বুকে, টেনে দুর্বল বপুটাকে
অবশেষে এসে, আশায় আছে বসে, নদীকুলে বটমূলে।