জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'ভবঘুরে-১'।

আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

ভবঘুরে-১


সেদিন পথের ধারে, দাঁড়িয়ে এক উদাস ভবঘুরে
দুচোখ ভরে, দেখিছে দানের এক দৃশ্য অদূরে।

এক অন্ধ ভিখারি আও আও করি, ডাকিছে পথচারী
বোবা নিশ্চয়! নিজেকে দিয়েছে তাই, সবার দয়াই সঁপি।
কুঞ্চিত কপালে, বসে বৃক্ষ তলে ফুটপাথে, থালা হাতে
নাঙ্গা ভুখা, মাগিছে ভিক্ষা, বিধাতার নাম জপি।

কখনো কদাচিৎ, কোন পরহিতব্রতী পথচারী
দেখে অসহায় ভিখারি, দুখে মন ভরী
দু একটা টাকা ফেলিছে থালাতে
স্পর্শ করি বুঝে নিচ্ছে ভিখারি, অঙ্গুলি বুলায়ে তাতে।

দাড়িয়ে অদূরে ভাবে ভবঘুরে, সে কিছু করে!
মনে দয়া হয়, কিছু করার মন চায়।
হয় উৎসুক! -কোথা থেকে আসে এ অন্ধ ভিক্ষুক!
আবার দিবা শেষে, কে এসে, কোথায় নিয়ে যায় তারে?

বেলা গড়ায় ধীরে, গাছের ছায়া যায় সরে
অন্ধের থালাতে বেশ টাকা ভরে।

ভাবে ভবঘুরে, দাঁড়িয়ে অদুরে-

অন্ধের থালাতে, বেশ টাকা তাতে জমে আছে
কেউ নাই পাহারায় ধারে কাছে।
কত অভাবী ঘোরে, যায় আসে ফুটপাথ ধরে
তবু অন্ধের কামায়, কেউ না নেয় চুরি করে!

অভাবী যারা, ফেরেশতা নয় তারা,
তবে গরীব অসহায়, মানুষ রুপী জানোয়ার নয়।

গরীব করে চুরি পেটের জ্বালায়, মনের ক্ষুধায় নয়
গরীব করে ছিঁচকে চুরি, ধনির চুরি গলায় ছুরি।
আফসোস! দুটোই চুরি, দুটোই দোষ
তবে এ দুনিয়ায়, কেবল মুলো চোরের ফাঁসি হয়।

ভবঘুরে, মুখ উঁচু করে, আকাশে তাকায়
দেখে, বেলা বেশী আর নাই।
আনমনে, ভাবে মনে মনে, “জানি না কি করে?
পার পাবে সবে খোদার বিচারে!”