Heading
আপডেট: ১৩ মে ২০২৪, ০৯:০৫
জীবন আর মৃত্যু, তারা কি মিত্র না শত্রু?
যেন দুটো ভবতরী, দিনভরি খেলিছে ধরাধরি।
মৃত্যু ধাবিছে জীবনের পিছে, কখনো দূরে কখনো কাছে
সারাক্ষণ ছোঁয়াছুঁয়ি করি, খেলিছে তারা লুকোচুরি।
সবথেকে ভাল খাবার, তার থেকে ভাল ডাক্তার,
ভাল কাপড় আর ভাল ঘর।
সারা জীবন ধরে, এতকিছু ভোগ করে
মৃত্যুকে কি রুখতে পারে? ঠেলতে পারে দূরে!
টাকার নেই অভাব, ডাক্তার দেখানো কেবল স্বভাব
পোলাও কোর্মা খায়, দুবেলা সবাই
তবুও তো যখন তখন, মরে তারাও প্রতিদিন প্রতিক্ষণ।
অভাব টাকার, দুবেলা পেট ভরে জোটে না খাবার
ডাক্তার তো দূরের ব্যাপার, তবুও তারা বাচে শত বছর।
বিধাতা দিয়েছে দেহ
দিয়েছে তাতে যাতনা, কতোনা আকাঙ্ক্ষা মোহ!
দেহের যত্ন নিলে, হাত পা চোখ সবাই মিলে
দেবে দেহ মনে তৃপ্তি।
যত্ন না নিলে, দেবে যন্ত্রণা তিলে তিলে
পাবে না কেউ কোন স্বস্তি।
এ ধরা অসমতায় ভরা, পার্থিব বিচারে!
কারো পেট বড়, ক্ষুধা বেশী, তবু ভরা থাকে দিবানিশি।
কারো পেট ছোট, তবু না ভরে, কষ্ট পায় ক্ষুধার কাতরে।
কি বিচিত্র বিচার বিধাতার এ ভবে!
বেশী খেলে, পেট বেশী ভরে গেলে, বদহজম হয়
আবার খালি পেট তার, যদি বেশী খালি হয়,
শরীর তবে, নিজের চর্বি পিত্ত খাবে!
তবে এ কথা সত্য নিশ্চয়!
বন্দী হয়ে শরীরের ফাঁদে, স্বর্গীয় জীবন কেবলি কাঁদে।
মুক্তির দূত বেশে, মৃত্যু এসে অবশেষে
মুক্ত করে তাই, স্বর্গের ধন স্বর্গে পাঠায়।
গুনিজনেরা বলে সবাই-
‘যা করিবে এ ভবে, তারই ফল পাবে কাটায় কাটায়
যা দেখ এ ধরায়, কর্মফল ছাড়া আর কিছু নয়’।
অজ্ঞ অধম আমি, হে অন্তর্যামী!
ভাবি আনমনে, তাকিয়ে আকাশ পানে,
জীবন সাঙ্গ প্রায়, এখনো মেলেনি হিসেব হায়!