Heading
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৬
বিধাতার এ ধরায়, সব তাঁর সৃষ্টি, তাঁরই দায়
তিনিই কেবল সর্বজ্ঞ, আমরা অজ্ঞ সবাই।
কালোর রক্ত সাদা শরীরে, বা সাদার রক্ত কালো কলেবরে
আস্তিকের অঙ্গ নাস্তিকের শরীরে
বিনা দ্বিধাই তা গ্রহন করে।
কাকের কয়লা-কালো শাবক, যত কুচ কুচে তা হোক
তা দেখেই তৃপ্ত হয়, মা কাকের হৃদয়।
সাদা ধপধপে সাবক, কম বেশী তা যাই হোক
দেখে তা, মা বকের আত্মা তৃপ্ত হয়।
সাদা আস্তিক, কালো নাস্তিক বা উল্টো তার
এটা ইন্দ্রিয়ের সীমানা, অসাড় ভাবনা সবার।
এমন হয়েছে কবে! আস্তিক যাকে নাস্তিক ভাবে
সে নাস্তিক ভাবে তাকে আস্তিক? তা নয় সঠিক
জেন সবে, তেমন কখনো হয়না এ ভবে।
আস্তিক নাস্তিক বাদি বিবাদী, সাদা কালো বা অজ্ঞেয়বাদী
সব একই লোক, যে যাই হোক, ভিন্নতা কেবল চিন্তায়।
একই বীজ হলে, সব জমিতে একই ফসল ফলে
আস্তিক নাস্তিক যে যাই, বা সাদা কালো ভেদে নয়।
মাথা নোয়াতে নিয়মে যার যার, ভাল লাগে তার তার।
কারো তৃপ্তি আকারে, কারো বা নিরাকারে
কারো তৃপ্তি গির্জার ঘন্টা গুনে, কারো বা ভেড়ার শিঙ্গা শুনে
ঢাকের শব্দ কারো ধরে মনে, কারো বা সুরেলা আজানে।
জন্ম থেকে যে যা দেখে, তাই তারা শেখে
এব্যাপারে সবাই ভবী, ভালবেসে সে ছবি হৃদয়ে আঁকে।
শিক্ষা যদি দোষের হয়, তাতে মানুষ তো দায়ী নয়!
তবে কার দোষ এটা! চল ভেবে দেখি সেটা, সবাই।
ডুবে সে ভাবনায়, যদি নিজেকে হারায়, যদি কিছু না পায়
খুঁজিতে খুঁজিতে দলে দলে, ডোবে ডুবুক বেলা অস্তাচলে
শেষ হয় হোক, তবু সে জীবন গণ্য হবে সার্থক বলে।
উপরের জল নিচেই গড়াই
তা আস্তিক নাস্তিক, সাদা কালো ভেদে নয়
সেত প্রকৃতির আইনে হয়।
যিনি বানিয়েছে সাদা কালো
তাঁরই হুকুমে উপরের জল নিচেই গড়াল।
যার হুকুম মেনে, সব চলে এ জাহানে, লক্ষ তারা নক্ষত্ররাজি
এ ধরার বুকে, যাকিছু ঘটিছে চারদিকে, সবই তাঁর কারসাজি।
এত বৈপরীত্ব আর, মায়ার আসীন দিগন্তহীন সৃষ্টি যার
তাঁকে বোঝা দায়! তাকি অত সহজ হয়!
সবে মিলে এক সাথে, জীবন করি পাত এ ধরাতে
চল তাঁর খোঁজ করি, নিজ নিজ পথ ধরি।