জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'বাবা ও খোকা'।

আপডেট: ১১ Jul ২০২৪, ১৫:১৮


বাবা ও খোকা

এইতো সেদিন, হাতে গোনা ক’দিন
খোকা এল আমার ঘরে, হাটি হাটি পা পা করে
শরীর মনে বড় হলে, কি করে যায় সেসব ভুলে?

বাবার খোকা, হয় না বড় সে কখনো?
হে বিধাতা! সে কথা তুমি ভালই জানো।
আমার খোকা আমার কোলে,
ভারী হবে বড় বলে!

এই যদি হয় তোমার বিচার
বল তবে হে মহাকর?

সহস্র বছর গত হল
মাটির কাঁধে আকাশ তো সেই একই রল!
কেমন করে পাহাড় বুকে, জল পিপাসায় ধুকে ধুকে
ভারি কাঁধে মরুভূমি, দাড়িয়ে আছে মূক ধরণী!

জানো তুমি হে ভূস্বামী, জমি আমি কৃষক তুমি
যে বীজ বোনো, ফলাই শুধু তা’ই জেন।
মালিক তুমি সব তোমারি, আমি তো কেবল প্রতিহারী।

তোমার ফসল তুমি নেবে, জমি কেবল পুষ্টি দেবে।
আমি কেবল পুষ্টিদাতা, জানি যে তা, হে বিধাতা!
ভরা ক্ষেত সব শুণ্য করে, তোল ফসল তোমার ঘরে
বুক যে আমার খাঁ খাঁ করে, সে খবর কি দেয় তোমারে!

দেয়ার ফাঁকে যে নেয়ার খেলা, চলে কেবল সারা বেলা
খেলার মাঝে ডুবে থাকা বাবা-খোকা, তা কেউ বোঝে না,
শেষে না হলে কেউ খোঁজে না।

আমি বাঁশি বাদক তুমি, যেমনি বাজাও বাজি আমি
কি যে বাজাও কি সুর সাজাও
তা কেবল জানা তোমারি, হে কান্ডারি।

সব খোকারা যাবে চলে, সময় হলে
নিজের জীবন গড়বে বলে।
বলবে তুমি এটাই নিয়ম, চলছে অদি অনন্ত কাল
নিয়ম মেনেই চলবে সবি, উঠবে সূর্য্য হবে সকাল।