Heading
আপডেট: ১০ মে ২০২৩, ১৪:৩৬
মাহিম বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। স্বচ্ছল গৃহস্থ পরিবার ওদের। বাবা বাবুল সরকার গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
মাহিমের শিক্ষা জীবন গ্রামে শুরু হলেও ছেলেকে নিয়ে বাবুল সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থে প্রাইমারীর গন্ডি পার হতেই তিনি ছেলেকে শহরে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেন। অসাধারণ মেধাবী মাহিম সে সাথে দেশে ও বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে ভাল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে সে আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে উন্নত বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও মাঝে মাঝে দেশে আসে মাহিম। গ্রামের বাড়ীতে ওর সাধ্যানুযায়ী বাবা মায়ের জন্য সব ধরণের শারীরিক সুখের ব্যবস্থা করেছে। বাবুল সরকার আর তার স্ত্রী একমাত্র ছেলেকে সব সময় মিস করলেও ছেলের উন্নত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এ দুটি প্রাণ নিজেদের মত করেই জীবন কাটায়।
মাহিম মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় চাকরী করে। মহাশূন্য আর মহাকাশের অসীমতার মাঝে ও হারিয়ে থাকে সারাক্ষণ। ওর গবেষণা নিয়ে সে দেশের নাম করা পত্রিকাগুলো নিয়মিত খবর প্রকাশ করে।
মাহিমের অশিক্ষিত মা অত কিছু না বুঝলেও বাবা বাবুল সরকার সে সবের খোঁজ রাখে। ছেলের বিশ্ব জোড়া সুনামের জন্য এদেশের জ্ঞানীগুণী মানুষেরা বাবুল সরকারকে বিশেষ সমীহ করে।
তিনি চাকরী থেকে অবসর গ্রহন করার পর গ্রামের মানুষ তাকে ওই প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি নির্বাচন করেছে। স্কুলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি বাবুল সরকারকে অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা নিয়মিত আমন্ত্রন জানিয়ে থাকে।
নিজের পরিচয় ও যোগ্যতার পাশাপাশি ছেলের বিশ্বজোড়া নাম যশ বাবুল সরকারকে এ বয়সে একজন সামাজিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। কিন্তু তার অশিক্ষিত গৃহিণী স্ত্রী মনিকা সরকার বিদেশে অবস্থানরত ছেলে আর এ অঞ্চলের নামকরা সামাজিক ব্যক্তিত্ব স্বামীর নানা কর্মকাণ্ডের বাইরে বলতে গেলে একাকী জীবন কাটায়।
শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রায় প্রতিদিন বাবা মাকে টেলিফোন করে খোঁজ নিতে একদম ভুল হয় না মাহিমের।
বাবা ছেলে যখন একে অপরের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভিডিও কলে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথাবার্তা বলে মনিকা সরকার তখন কেবল দু একটা কথায় মাহিমের ভাল মন্দ খবর নেয়ার পর বলতে গেলে চুপ করে পাশে বসে থাকে। প্রথম দিকে তিনি ছেলের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে খোজ খবর নিতেন কিন্তু মাহিম যে সমস্ত খাবারের নাম বলে মনিকা সরকার তা উচ্চারণই করতে পারে না, তাই আজ কাল ছেলের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে তেমন খোঁজ নেয় না।
স্বামী বাবুল সরকার আর ছেলে মাহিম যে মনিকা সরকারকে অকৃত্রিম ভাবে ভালবাসে সেটা তিনি বোঝেন। কিন্তু স্বামী আর ছেলের সাথে তার আলাপচারিতা একটা গন্ডিতে বাঁধা, সেটুকু অল্পতেই শেষ করে বাবা ছেলে যখন দেশ বিদেশ বা বিশ্বের নানা কথা বলে মনিকা সরকার তার মাথামুন্ডু কিছু বোঝে না। তিনি তার জীবনের দুজন সব থেকে কাছের মানুষের কথাবার্তা হাসি তামাসার স্বরূপ ঠিক না বুঝলেও পাশে বসে তা শুনে নিরবে নিজের হৃদয় ভরপুর করে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বাবুল সরকার স্ত্রীকে তার সাথে যাওয়ার জন্য বলে কিন্তু সেখানে যেয়েও চুপচাপ বসে থাকতে হবে সে চিন্তা করে মনিকা সরকার যেতে রাজী হয় না। তার পৃথিবীটা খুবই ছোট –রান্না বান্না, ঘর দোর পরিষ্কার রাখা, স্বামীর জন্য অপেক্ষা করা আর টেলিফোনের মাধ্যমেই ছেলের খবরাখবর রাখার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ।
-তুমি যে ভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখো, তাতে করে আমার অবর্তমানে তুমি কি করে বেচে থাকবে মনিকা? আমি তোমাকে খুব ভালবাসি বলেই বলছি, আমি মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করি –খোদা যেন আমি বেচে থাকতে থাকতেই তোমার মৃত্যু দেয়। তুমি বাদে আমি কষ্টে শিষ্টে বাকি সময় পার করতে পারবো কিন্তু আমি আগে চলে গেলে তোমার কি হবে, সেটা ভাবতেই আমার দম বন্দ হয়ে আসে!
স্বামীর এমন গভীর অতি বাস্তবতা পূর্ণ কথার কোন জবাব দেয় না মনিকা সরকার।
কিন্তু কি যে হল! বাবুল সরকার তার অবর্তমানে স্ত্রী কি ভাবে জীবন কাটাবে সে চিন্তায় মগ্ন থেকে একদিন রাতে ঘুমিয়ে সকালে আর উঠলেন না।
ভোর হতেই পাড়া প্রতিবেশী সব দৌড়ে আসলো, আত্মীয় স্বজন যারা ছিল তারাও ছুটে আসলো। চারদিক কান্নার রোল পড়ে গেল।
মনিকা সরকার কাঁদলেন তবে চিৎকার করে না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে যেন অভিমানের কান্না।
বাবুল সরকার রাতে কখন মারা গিয়েছে সেটা সঠিক করে বলা গেল না। এদিকে বাবুল সরকারের স্মার্ট ফোনটা তার নিজের আঙ্গুলের ছাপে বন্দ থাকায় মাহিমকে বাবার মৃত্যুর খবরটাও দেয়া গেল না।
নিত্য দিনের মত রাত দশটার দিকে মাহিম ফোন করার পর খবরটা তাকে জানান হল।
ফোনটা চাচা ধরল আর তার কাছ থেকে খবরটা জেনে মাহিম চুপ করে রইল।
-মাহিম, প্রায় চব্বিশ ঘন্টা হয়ে গেল, লাশ তো আর রাখা ঠিক হবে না। তুমি এস আস্তে ধীরে, তুমি বললে দাফনের ব্যবস্থা করি। তোমার মায়ের জন্য চিন্তা কর না। আমরা সবাই তো আছি।
বাবা আছে বলে মাহিম প্রকৃতই মায়ের জন্য চিন্তা করত না। তবে কাজের সব কথা শেষে বাবা মাঝে মাঝে বলতেন –মাহিম আমি না থাকলে তোমার মায়ের যে কি হবে!
বাবার সে কথাটা মাহিমের কানে বেজে বেজে পৃথিবীর অন্য সব কথাবার্তা ওর কানে ঢুকতে বাধা দিতে লাগলো। মাহিম ওর এত ব্যস্ততা এত কাজ এত দায়িত্ব সব ফেলে পাচ দিনের দিন বাড়ী ফিরল।
পাথরের মত হয়ে থাকা মাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ ধরে কাঁদল মাহিম।
মাহিমের মা মনিকা সরকার চিরকাল একটু স্বল্প ভাষী, তারপর তার সবচেয়ে নিকটের দুটো মানুষের কথাবার্তা তেমন ভাবে না বোঝার ফলে নিজেকে একদম গুটিয়ে নিয়েছিলেন। আর স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি একদম চুপ হয়ে গেলেন।
আত্মীয় স্বজনেরা ধীরে ধীরে বিদায় নিল, পাড়া প্রতিবেশীরা নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
মাকে নিয়েই মাহিমের সময় কাটে। এখন মাহিমের চিন্তা জগতে ওর মা’ই একমাত্র ব্যক্তি।
মহাকাশ আর মহাশূন্য যার গবেষণার বিষয়, যার গবেষণার সাফল্যের দিকে বলতে গেলে সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে সে মাহিম আজ দেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামে বসে তার জীবনের বাস্তবতার সন্মুখিন হয়ে অনেকটা দিশেহারা।
মা মনিকা সরকার মাহিমের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারে না, কথা যে বলতে মন চায় না তেমনটি না। বিদেশে নাম না জানা সব খাবার খেতে অভ্যস্ত ছেলেকে কি খাবে সব মায়েদের মত করে সেটাও জিজ্ঞেস করতে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে।
নিজ উদরে ধারন করা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আদর করার জন্য হৃদয়টা ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হলেও দিনে দিনে কোথায় যেন অদেখা দেয়াল গড়ে উঠে সেটা বাধা দেয়।
অসীম মহাকাশ আর মহাশূন্যের গবেষক মাহিম সরকার এখন তার একা হয়ে যাওয়া সহজ সরল অশিক্ষিত মাকে কি ভাবে ভাল রাখবে! কি ভাবে মাকে সুন্দর ভাবে বাচিয়ে রাখবে সব ভুলে সে চিন্তায় বিভোর থাকে।
-চাচা, আপনি আমার জন্য গ্রামের একটা অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত মেয়ে যে মায়ের মত হবে, মায়ের কথা, মায়ের চাহিদা বুঝবে তেমন একটি মেয়েকে দেখুন, আমি বিয়ে করব।
মাহিমের কথায় ওর চাচা নির্বাক হয়ে তাকালেন ওর দিকে।
বাবার একই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করল মাহিম। বাবার পরিচয় আর নিজ গুনে গুণান্বিত মাহিম ধীরে ধীরে এলাকার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রাইমারী স্কুল গুলোই জাতি গঠনের প্রথম সোপান হিসেবে গ্রহন করে মাহিম তার মন প্রাণ দিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দেয়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করল।
ঝিমিয়ে পড়া দায়সারা চাকরী করা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে আত্মসম্মানবোধ জাগিয়ে তুলাটা প্রধান একটি কাজ হিসেবে চিহ্নিত করল মাহিম। প্রাইমারী শিক্ষকেরা জাতি গঠনের মুল কাজটি করে থাকে ধারনাটি সব শিক্ষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হল মাহিম।
মাহিম নিজেকে সাক্ষাৎ প্রমান হিসেবে দাড় করিয়ে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদেরকে বুঝাতে সক্ষম হল যে তারই মত এই সব প্রাইমারী স্কুলেই ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক, বিজ্ঞানী, সরকারী কর্মকর্তারা বসে আছে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রকৃতপক্ষে শিক্ষকদের হাতে, তারাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছে।
নিম্ন বেতন, সামাজিক অমর্যাদা ও অবমুল্যায়ন ইত্যাদির জন্য সব প্রাইমারী শিক্ষকদের মনোবল নিচু বলে শিক্ষকেরা উল্লেখ করলে মাহিম জবাবে বলেছিল-
–এদেশের প্রধান মন্ত্রী সহ বড় বড় কর্মকর্তা যারা অনেক বড় বড় নামি দামি ইউনিসিভারসিটিতে পড়াশোনা করে বড় হয়েছে তারা শ্রদ্ধাভরে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলে কেবলমাত্র প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদেরকেই করে থাকে, অন্য কাউকে নয়। এটা এদেশের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য, এর থেকে বেশী আর কি মুল্যায়ন আপনারা চান?
প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকেরা যারা নিজেদেরকে অবহেলিত মনে করত, নিজের কাজকে নিম্নস্তরের কাজ মনে করত তারা সবাই ধীরে ধীরে উজ্জীবিত হয়ে উঠল।
প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকেরা আত্মগর্বে বলিয়ান হয়ে পাঠদান শুরু করাই এলাকার প্রাইমারী স্কুলগুলোর গুনগত মানের আমুল পরিবরতন হল। আর সে ঢেউ প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সে অঞ্চল ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের গোচরভুত হল। সরকারের বড় বড় কর্মকর্তা সহ মন্ত্রীবৃন্দেরা মাহিমের স্কুল পরিদর্শন করে তাকে আভিভুত হয়ে নানা ভাবে তাকে অনুপ্রানিত করতে লাগলো। দেশে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে মাহিমকে তারা পথিকৃৎ হিসেবে গ্রহন করল।
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারবার টেলিফোন আসতে লাগলো, মাহিম কবে ফিরবে সেটা জানার জন্য।
-আমার মাকে একা রেখে আমি আর ফিরতে চায় না।
-মাকে সাথে নিয়ে এস।
-সেটা সম্ভব না, আমার গ্রাম বাংলার মা ওই পরিবেশে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারবে না।
মাহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ডাইরেক্টর মাহিমের উত্তর শুনে আর কথা বাড়ালেন না।
মহাকাশ গবেষক মাহিম প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার গ্রামে তার অশিক্ষিত মা আর অল্প শিক্ষিত স্ত্রী আর দরিদ্র অশিক্ষিত আধা শিক্ষিত গ্রামবাসীদের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করে একদম নিজের মত করে এক পৃথিবী গড়ে তুলল।
কয়েক বছরের মধ্যেই মাহিমের প্রাইমারী স্কুলকে পুরো দেশ আদর্শ হিসেবে গ্রহন করা হল।
মাহিমের গ্রাম দেশের শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠল।
সারা দিন কাজে ব্যস্ত থাকলেও দিন শেষে আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাহিম সারা সময় তার মা আর স্ত্রীকে নিয়ে সময় কাটাতে লাগলো। এ কয় বছরেই তার সল্প ভাষী অশিক্ষিত মা বলতে গেলে বাচাল হয়ে উঠলেন।
মাহিম বাইরে থাকলে মনিকা সরকার আর তার ছেলে বউ সারাক্ষণ কথাবার্তা হাসি তামাসায় মশগুল থাকে আর মাহিম বাড়ী থাকলে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত মায়ের কথা শেষ হয় না। হাসতে হাসতে সময় সময় দম বন্দ হওয়ার উপক্রম হয়।
এক ছুটির দিন হেলিকপ্টারের শব্দে গ্রামের মানুষ উৎসুক হয়ে স্কুলের মাঠে ছুটে গেল।
সরকারের মন্ত্রী সহ বিদেশ থেকে আগত মাহিমের মহাকাশ কেন্দ্রের ডাইরেক্টর নামলেন হেলিকপ্টর থেকে।
-মাহিম, তোমার মা আর মাটিকে ছেড়ে সাত সমুদ্র পার হয়ে তোমাকে গবেষণা করতে যেতে হবে না।
মাহিমের বাড়ীর আঙ্গিনায় পাতা চেয়ারে মহাকাশ কেন্দ্রের ডাইরেক্টর আর দেশের মন্ত্রীর মুখোমুখি বসে মাহিম ডাইরেক্টরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুটা অবাক হয়ে।
-আমাদের সংস্থা তোমার গ্রামে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করবে। তোমার দেশের সকারের সাথে আমাদের কথাবার্তা শেষে চুক্তি সাক্ষর শেষ করে তোমাকে দেখতে এলাম। তুমি এখানে থেকেই গবেষণা পরিচালনা করবে।
ডাইরেক্টরের সাথে আসা মন্ত্রীও মাথা ঝাকিয়ে সাই দিলেন।
-মাহিম, আমি একটা প্রবাদে বিশ্বাস করি –Build a better mousetrap and the world will beat a path to your door. ইদুর ধরার কলটা ভাল করে তৈরি কর, দেখবে পুরো দুনিয়া রাস্তা বের করে তোমার দোরে আসবে। তুমি সেই ইদুর ধরার কল মাহিম, আর তোমার মা আর মাটির প্রতি তোমার অকৃত্রিম ভালবাসা সে কল তৈরির মূল অনুপ্রেরণা।