Heading
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৪
দিনে দিনে একটু বেড়ে, গেল খোকা আমায় ছেড়ে,
সাত সকালে ডানা মেলে, খোকা আমার গেল উড়ে।
পাড়ি দিয়ে রাহা কত, স্বপ্ন শত বুকে করে
খোকা গেল একা তার স্বপ্নপুরে, যোজন দূরে।
যাবার বেলায়, খোকা ফিরে তাকায়
হাসি ভরা মুখ খানি তার, অশ্রু ভেজা নয়ন আমার।
সেদিন প্রাণ খুলে, যে হাত দুটো মোর ধরে মেলে,
নিয়েছিলাম তাকে আদর মেখে, প্রথম কোলে।
আজ বিদায় দিলাম সে হাত নেড়ে
খোকা আমায় গেল ছেড়ে!
দুচোখ গেল জলে ভরে, রক্তক্ষরণ হল গভীরে।
তবুও কাঁদতে মানা, এতসব ওর নেই তো জানা।
এসব দেখে, যদি আবার, অশ্রু আসে খোকার চোখে!
আসলো সেদিন বিনা বেশে, অজানা এই ধরায় এসে
বেরিয়ে গর্ভ থেকে, প্রথম ধরার আলো দেখে
উঠলো কেঁদে খোকা,
কুঁচকালো ভ্রু, করে কান্না শুরু, চোখ মুখ করে বাকা।
খোকা কবে বড় হলো, হে বিধাতা তুমিই বলো?
আমার খোকা আমার কোলে, ভারী হবে বড় বলে!
সহস্র বছর গত হল,
করে বাস, ধরার কাঁধে, আকাশ তো একই রল!
এই যদি হয় তোমার বিচার
বল তবে হে মহাকর?
কেমন করে পাহাড় বুকে, জল পিপাসায় ধুকে ধুকে
ভারি কাঁধে মরুভূমি, দাড়িয়ে থাকে মূক ধরণী!
জানো তুমি হে ভূস্বামী, জমি আমি কৃষক তুমি
যে বীজ বোনো, শুধু তাই ফলায় জেন, আমি কেবল ভূমি।
মালিক তুমি সব তোমারি, আমি তো কেবল প্রতিহারী।
তোমার ফসল তুমি নেবে, জমি কেবল পুষ্টি দেবে।
আমি কেবল পুষ্টিদাতা, জানি যে তা, হে বিধাতা!
ভরা ক্ষেত সব শুণ্য করে, তোল ফসল তোমার ঘরে
বুক যে আমার খাঁ খাঁ করে, সে খবর কি দেয় তোমারে!
দেয়ার ছলে, কেবল চলে নেয়ার খেলা,
করি আমি সারা বেলা।
না ছেলে না বাবা, খেলার মাঝে কেউ বোঝে না,
শেষ না হলে কেউ খোঁজে না।
আজ খেলা শেষে, ব্যথা এসে বুক ফেটে যায়
আছে জানা, বাবাদের তা বলতে মানা।
এ তোমার কেমন বিধান! তাতে আমার যায় যে প্রাণ!
বল কি করি হায়! ধরার সকল বাবার হবে কি উপায়!