জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'জীবন চলা'।

আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ১২:২২

জীবন চলা

জীবন এক ঘূর্ণি চাকা,
চলে কখনো সোজা কখনো বাকা।
শরীর এক মাকাল ফল, দেখলে হয় মন পাগল
কিন্তু ভিতরটা একদম ফাঁকা।

শরীর প্রকৃতই হাড্ডির খাঁচা, এক পরগাছা
আত্মা নির্ভর তার মরা বাচা।
নিঃশ্বাসের নেই কোন বিশ্বাস,
চলে বেশ, তবে থামলেই সব শেষ।

ভঙ্গুর রথ, অনিশ্চিত পথ এই হল জীবন,
অতৃপ্তি সারাক্ষণ, ভরে থাকে মন।

জীবন যেন মাস্তুলে জড়ানো, পাল ওড়ানো এক নৌকা,
যাত্রী সবাই দমে দম, একদম একা।
চলে বাতাসের তালে, বাতাস যত দোলে
পাল একটু করে খোলে।

জীবন এক মায়া, কেবলই বয়ে যাওয়া
কূল কিনারা বিহীন অন্তহীন এক ভব দরিয়া।
শরীর চলে মনের টানে,
কোথায় যাবে বা থামবে কবে, সে কথা কেউ না জানে।

শরীর এক জলযান, পা’দুটো তার হাল
মন তার পাল, বাতাস মনের খেয়াল।
যা যায় দেখা, সব তা মরিচিকা, দূরে চিক চিক করে
ছোটে সবে দলে দলে সন্ধ্যে সকালে, মৃদু মন্তরে।

 

মনের দৃষ্টি বর্তমানে নয়, সে কেবল ভূত ভবিষ্যতে তাকায়
থাকে সে বর্তমানে কদাচিৎ, মানে না উচিৎ অনুচিত
সে থাকতে চায়, আগে বা পিছে সব সময়।

খারাপ যা ঘটেছে আগে,
সে কথা ভেবে, সদা মনে প্রশ্ন জাগে-
“তেমনি যদি হয় আবার!” মনে সদা ভয় সবার।

দুঃখ বেদনা বা সুখ যত, যা হবে বা হয়েছে গত
ভেবে দেখ মন, সব তা এখন কেবলি ভাবনা।
কাল কি হবে এ ভবে, সে কথা কেউ জানেনা।

ঘটে যা গেছে, আর যা ঘটার কথা আছে
ভেবে দেখ সব তা মিছে।

যা বর্তমান, ঘটিছে এখন, সেদিকে রাখ খেয়াল
সেটাই সত্য, সেটাই নিত্য
সেটাই গড়িছে আগামী কাল।

 


Read More