বিশ্বাসই রক্ষাকবজ।

আজি এ লগনে উড়িছে গগনে, খেচর শত
উড়ে এসে ডালে বসে, খাচ্ছে ফল ফুল ইচ্ছে মত।
ফলাতে পারে না পক্ষীকুল, কোন ফল ফুল সত্য
তা বলে বিধাতা, রাখে না তাদের অভুক্ত নিত্য।

জেন সকলে, বিধাতা তা বলে
দেয় না খাবার, পৌঁছে সবার নীড়ে নীড়ে।
দিয়েছেন তিনি ডানা, খুঁজে নিতে খাদ্যের ঠিকানা
জোগাড় করিতে খাবার যার যার, উড়ে উড়ে।

হটাৎ পড়িল বাজ, মনে হল সব শেষ আজ!
চমকাল বিদ্যুৎ, গগনের বুক চিরে হাসিল মেঘদূত।

ক্ষুধার্ত কাক দল, এনে গাছ পাকা ফল ঠোটে ধরে
বসেছিল বট ডালে, খাবে বলে মজা করে।
গর্জিল গগণ, এল ঝটিকা বর্ষণ, সব করে দিল মাটি
ঠোটে ধরা ফল ফেলে কাক দল, পালালো নিজ নিজ বাটী।

অনেক কষ্টে এসে, পথিক ছিল বৃক্ষ তলে বসে,
ছিল মনে বিশ্বাস।
তাইতো অবশেষে প্রকৃতি এসে,
সাঙ্গ করল নিরম্বু উপবাস।

ক্ষুধার্ত পথিক পেল ফল, আর তৃষ্ণার জল,
প্রকৃতির করুণায়।
এমনি করে এ বিশ্ব চরাচরে,
কৃপা করে প্রভু নানা অছিলায়।

উপবাস ভেঙ্গে শেষে, গায়ে জোর ফিরে এসে
দাঁড়ালো পথিক উঠি, চলিল নিজ পায়ে হাটি।
হাটিতে হাটিতে আনমনে, তাকায় পথিক আকাশ পানে
ভিজিয়ে অশ্রু বৃষ্টির জলে, মনে মনে বলে -

এ দুনিয়াই যা দেখা যায়, সেটাই শেষ কথা নয়
বিধাতা রাখে প্রতিক্ষণ, সব সৃষ্টিকে স্মরণ,
থাক সবে নির্ভয়, ভান্ডার তাঁর অক্ষয়।

জেন সবে, বিধাতার এ ভবে,
সবই সম্ভব সবই সহজ।
বিশ্বাস মিলাবে সবি, বিশ্বাসে থাক ভবী,
বিশ্বাসই রক্ষাকবজ।

যে যা চায়, সে তা নিশ্চিত পায় এ ধরায়।
নামিলে রাস্তায়, জেন তার কোন ব্যত্যয় নাই।
রাস্তাই রাস্তা দেখাবে সঠিক, পৌঁছাবে নিশ্চিত গন্তব্যে ঠিক।