জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'উপমিতকে উপমান ভাবে ভক্তরা সবে'।

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:৪৭

উপমিতকে উপমান ভাবে ভক্তরা সবে

সৃষ্টি ভরা অনিন্দ্য সুন্দরে, আর কুৎসিত কদাকারে
স্রষ্টা যিনি, কতনা সুন্দর কদাকার কুৎসিত তিনি।
প্রকাশিছে শিল্পী নিজেকে নানা সাজে,
এ বিশ্ব চরাচরে তাঁর শিল্পকর্মের মাঝে।

একের চোখে যা কদাকার,অন্যের চোখে তা সুন্দর
এটাই নিয়ম এ ধরার, এমনই রূপ বিধাতার।

শুধু চোখ মেলে নয়,
বুজেও সুন্দর আর কদাকার দেখা যায়।
চোখ মেলে ধরে, যায় দেখা যা কিছু আকারে
নিরাকারকে যায় দেখা চোখ বন্দ করে।

আকারে কুৎসিত তায় নিরাকারে তা অসুন্দর হয়
সে কথা সঠিক নয়।
সব কিছুর জন্য আকার জরুরি দরকার নয়।

নিরাকার বাতাস বোঝাতে চৌকস চিত্রকর
আঁকে নানা ছবি দিনভর।
উপমা দিয়ে করে তাকে উপমান মূর্ত
অবুঝকে বোঝাতে সেটাই যথার্থ।

বাতাস আছে জানে সবাই, মানেও নিশ্চয়।
বাতাস আকার বর্ণ গন্ধ বিহীন
সে বাতাসই আনে বয়ে গন্ধ বর্ণ সীমাহীন।

আকারের পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়।
কিন্তু যা নিরাকার, তার আবার ভিন্ন আকার!
তা কি ভাবে সম্ভব হয়!
কিন্তু হায়! তেমনই হয় এ ধরায়।

চিত্রকরের অঙ্কিত রুপ,
ভাবে তাকে সবে রুপক বর্জিত স্বরূপ।
উপমিতকে উপমান ভেবে ভক্তরা সবে
করে যত হিংসা হানাহানি শত, এ ভবে।

নানা রং আর আকার দিয়ে তুলিতে আঁকা
উপমিতকে উপমান বলে মেনে নেয় সব বোকা।
প্রভুর খোঁজে বুঝে না বুঝে ভক্তরা দলে দলে
দিব্য চক্ষু বুজে চর্ম চক্ষু খোলে।

সেবিতে বিধিকে সেবিছে নিজেকে ডুবিছে অহংবাদে
ভরিছে তারা পৃথিবী সারা, দ্বন্দ্ব ফেসাদে।

কবে হবে শেষ এ অচৈতন্যতা আর হিংসা বিদ্বেষ!
জীব জড় আকার প্রকার নির্বিশেষ,
হবে শুধু আশা ভালবাসা আর প্রেমের উন্মেষ!