Heading
আপডেট: ২৪ মে ২০২৩, ১২:৪৩
বিশাল দিঘীর পাড়ে সান বাধানো ঘাটের সাথে নির্মিত জমিদারী কাচারী ঘরের খোলা প্রশস্ত বারান্দায় হাটাচলা করে আর ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে দিন কাটিয়ে দেন জমিদারীর বর্তমান উত্তরাধিকারী অমর চৌধুরি।
বনেদী জমিদার বংশ ওদের। কিন্তু কালে কালে জমিদারী হারিয়ে বর্তমান প্রজন্ম বলতে গেলে দারিদ্র্যতার দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে।
দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মুল বাড়ীটার ইটের গাথুনি আর ছাদের কড়িকাঠের পাশ থেকে চুন সুরকী খসতে খসতে জীর্ণ দশা বাড়ীটা কোন রকমে সাক্ষীগোপালের মত দাঁড়িয়ে আছে।
বাবা অনেক কষ্ট করে হলেও প্রথমে ওর বড় বোন যে অমরের থেকে প্রায় আট বছরের বড় তাকে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠান। বোনটা পড়াশোনা শেষে সেদেশেই সংসার পেতে বসবাস করছে।
বছর সাতেক আগে ওর মা ক্যানসারে মারা যাওয়ার পর পরই বাবা অমরকেও পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন। ভেবেছিলেন সহায় সম্পত্তি যতটুকু আছে তার সব বিক্রি করে হলেও ছেলেকে জীবনে প্রতিষ্ঠা করেই তিনি চোখ বুঝবেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না, বছর দুই যেতে না যেতেই ছেলের ব্যয় বহনে ব্যর্থতার মর্মবেদনায় জর্জরিত হয়ে সব কিছুই মাঝ পথে ফেলে রেখেই অকালে বাবা চলে গেলেন।
আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ার মত অবস্থা হল অমরের। লেখাপড়া শেষ না করেই দেশে ফিরতে হল তাকে।
বেচে থাকতে বাবা কোন আর্থিক অনটনের তাপ ছেলের গাঁয়ে লাগতে দেয়নি। অমরের বয়স কুড়ি ছাড়িয়েছে, সব কিছু বুঝলেও আর্থিক অনটনের স্বরূপটা সে বুঝতে পারিনি। এখন বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা অমর। কোন পিতৃপুরুষের ভুলে ওদের সব কিছুতে ধ্বস নামলো তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়েও কোন কুল কিনারা করতে পারে না অমর।
আফসোসে ভরা জীবন ওর, আর এখন কেবল আফসোস করেই দিন কাটে তার। প্রকৃতি, মানুষ সব কিছুকেই অসহ্য লাগে। আজকের এ দশার জন্য অমর তার বংশের সবাইকে আর সব কিছুকেই দোষারোপ করে অভিসম্পাত দেয়।
কোন কোন দিন বাড়ীর পুরনো চাকর গদাধর জোরাজোরি না করলে কাচারি ঘরের বারান্দায় ইজি চেয়ারে রাত কাটিয়ে সকাল হলে অন্দর মহলে যায় অমর।
বংশানুক্রমে জমিদার এস্টেটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত থাকা পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের অশীতিপর ম্যানেজার গদাধর। ওর পূর্ব পুরুষেরা আসামের কোন অঞ্চল থেকে কি ভাবে যেন এসেছিল এ তল্লাটে। গদাধর উপজাতি একটা মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বউটা দু বছর হল মারা গিয়েছে। ওর ছেলে দুটো বড় হয়ে বাইরে কাজ করে সেখানেই সংসার পেতেছে যে যার মত। অশীতিপর গদাধরও বলতে গেলে অমর চৌধুরির মত একাকী নিঃসঙ্গ মানুষ। বয়সের হিসেবে জীবনের শুরু আর শেষের দুই প্রান্তের দু জন মানুষ ওরা।
বসন্তের শুরুতে এক পসলা বৃষ্টি হয়ে আকাশটা পরিষ্কার হয়ে গেল।
মৃদু বাতাসে একটু শীত শীত লাগতে লাগলো। অমর চৌধুরি ইজি চেয়ারটাতে আরো একটু জড়সড় হয়ে বসলো।
গদাধর একটা চাদর নিয়ে তার গায়ের উপর বিছিয়ে দিয়ে গেল।
বোধহয় পূর্ণিমা, সন্ধ্যার সাথে সাথেই রুপালি গোল চাঁদটা মৃদু মন্দ হাওয়াই দীঘির জলে নাচানাচি করতে লাগলো আর দীঘির জলের উপর মাথা ভাসিয়ে বাতাসের তালে নড়তে থাকা শাপলার বড় বড় পাতার সাথে লুকোচুরি খেলতে শুরু করল।
ভারি ভাল লাগলো অমরের।
শরীর মন দুটোই বেশ ভাল তরতাজা লাগতে লাগলো। বাড়ী আসার পর এর আগে এত ভাল কখনো লাগেনি ওর। প্রকৃতির এ অপরুপ সৌন্দর্য মন প্রাণ ভরে উপভোগ করতে লাগলো অমর। মনের অজান্তেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধের জন্ম নিল অমরের মনে।
চাঁদটা মেঘ মুক্ত পুব আকাশে জ্বল জ্বল করছে। বিশাল জমিদার এস্টেটের নির্জনতা ভেঙে খান খান করে একটা শেয়াল ডেকে উঠল। ঘাটের উপর দাঁড়িয়ে থাকা বুড়ো কদম ফুলের ডালে একটা তক্ক সাপ তক তক করে ডেকে উঠল। নিস্তব্দ চারদিক যেন সরব হয়ে উঠল।
-ঘুমিয়ে পড়লে নাকি চৌধুরি?
-কে!
আপদমস্তক ধবধবে সাদা পোশাকাবৃত শ্বেত শুভ্র শ্মশ্রু আর মাথাভর্তি চুলে লাঠি ভর দিয়ে এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে বারান্দায়। বয়সের ভারে কিছুটা ন্যুব্জ।
অবাক হল অমর।
সে ব্যস্ত হয়ে ইজি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর প্রয়াস পেল।
-ব্যস্ত হয়ো না, আমি বসছি তোমার পাশে।
আশ্বস্ত হল অমর।
ঘন হয়ে বসে খুব গভীর ভাবে অমরকে দেখতে লাগলো বৃদ্ধ। তাঁর নিশ্বাস অমরের মুখের উপর পড়তে লাগলো। ফিস ফিস করে কথা কথা বলছিলাএন তিনি।
-তোমার তো সব আছে, অফুরন্ত সম্পদ তোমার, তা স্বত্বেও এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে?
অবাক হয়ে অমর তাকিয়ে বৃদ্ধের দিকে। কি বলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারল না।
-ভাবছো, আমার মত একজন অপরিচিত কেউ এসব কথা কেন বলছে? তোমার চিন্তা অবান্তর নয়। আমার পরিচয় তুমি জানবে, ও নিয়ে চিন্তা করোনা।
একটু আশ্বস্ত হল অমর।
-আপনি বোধহয় ঠিক জানেন না, আমাদের কিছুই নেই, সব শেষ। এখন কেবল নিভে যাওয়ার অপেক্ষা। দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বলল অমর।
-বল কি তুমি!
-ঠিকই বলছি, সাহায্য করার মত আপন জন বলতেও কেউ নেই আমার। আয় ইনকাম করার মতও কোন কিছুই নেই। কোন পুঁজিও নেই যে তা দিয়ে কোন কিছু শুরু করবো। আমি তো তেমন ভাবে লেখাপড়াও শেষ করতে পারিনি যে কিছু একটা করবো। অনেক ভেবেছি আমি, আর দিনে দিনে এভাবে আর্থিক দৈন্যদশার কারণ খোজ করতে যেয়েও কোন কুল কিনারা করতে পারিনি।
অমরের কথাগুলো অনেকটা বিলাপের মত শোনালো। নিজের কষ্টের কথাগুলো বলতে পেরে নিজেকে একটু হালকা মনে হল ওর।
-এই শূন্য হাত দুটো ছাড়া আমার আর কেউ নেই কিচ্ছু নেই।
অমর ওর মাথাটা তার বুকের কাছাকাছি অবনত করে নিজেকে যেন লুকাতে চাইলো।
-এতক্ষণে তুমি বুদ্ধিমানের মত কথা বলেছ। সাহায্যের জন্য তুমি নিজের দিকে তাকিয়েছ।
অমর মুখটা উঠিয়ে তাকাল বৃদ্ধের দিকে।
-অযত্নে পড়ে থাকা তোমাদের যে বাগান, জমিজমা, জলমহল আছে আর তোমার বাপ দাদার আমলের যে কারখানা বন্দ হয়ে আছে সেগুলো ধীরে ধীরে চালু কর না কেন?
-না, আমার পক্ষে সে সব করা সম্ভব নয়। ওগুলো দিয়ে আর কিছুই হবে না।
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কথাগুলো বলল অমর।
-একবার চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি?
-ওসব আমার দ্বারা হবে না, আমার সব হারিয়ে গিয়েছে।
-আরে পাগল তুমি কি হারানোর কথা বলছো তা আমি ঠিক জানিনে, কিন্তু তোমার যে লুকায়িত ধন রত্ন আছে সেটার খবর কি তুমি জান?
বৃদ্ধের কথাই কিছুটা আগ্রহান্বিত হয়ে উঠে তার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাল অমর।
-লুকায়িত ধন রত্ন!
-হ্যে, তাইতো বলছি, সবারই একটা লুকায়িত গুপ্তধন থাকে, তোমার গুপ্তধনের সন্ধান আমি জানি। সে এক বিশাল ভাণ্ডার। তোমার পিতৃপুরুষেরা জমিয়ে রেখে গেছে।
কি যেন একটা ভাবল অমর।
-ওগুলো আমার চায়না।
কিছুটা গোমড়া মুখে উত্তর দিল অমর। বৃদ্ধ খুব গভীর ভাবে তাকে অবলোকন করল।
-তবু ওগুলো তো তোমারই সম্পদ, তাই জেনে রাখা ভাল না?
অমর চৌধুরি কিছুটা ইতিবাচক দৃষ্টিতে তাকাল বৃদ্ধের দিকে।
-এস আমার সাথে।
মন্ত্রমুগ্ধের মত বৃদ্ধকে অনুসরণ করে অমর জমিদারী এস্টেটের ভিতর একটা পুরনো অব্যবহৃত দীঘির উঁচু পাড়ে উপর দাঁড়ানো বিশাল একটা তেতুল গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ালো।
-গাছটা চিনতে পার? তোমাদের বংশপিতা অর্থাৎ তোমার পরদাদা যিনি বলতে গেলে একদম শূন্য থেকে এই বিশাল সম্পত্তির গোড়াপত্তন করেছিলেন সে সময়েই তিনিই লাগিয়েছিলেন গাছটা। মৃত্যুর আগে তিনি তোমার দাদাকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন -এই গাছটার ডাল পাতা ছাল ইত্যাদির ভাঁজে ভাঁজে এই এস্টেটের ইতিহাস লেখা আছে। গাছটার যত্ন নিও, আর গাছটা নিজের থেকে মরে না যাওয়া পর্যন্ত এটাকে যেন কেটে ফেল না।
-এসব জেনে আর কি হবে?
-নিজের সম্পর্কে জানতে হবে, নিজের দিকে তাকাতে হবে। এখন যা কিছু দেখছ দুশো বছর আগে এসবের কিছুই ছিল না। এটা একটা পরিত্যাক্ত নির্জন জলাভূমি আর জংগল ছিল। এখানে কেবল জীব জন্তু আর পোকা মাকড় বসবাস করত। তোমার পরদাদা যার কিছু কর্মদক্ষতার গুনে তখনকার ইংরেজ প্রশাসকের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল, সেই সাহেবই এ জায়গা তোমার পরদাদাকে বন্দোবস্ত দিয়েছিলেন।
অমর কিছুটা অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে বৃদ্ধের চোখে।
-তোমার পরদাদা একেবারে শূন্য থেকে এতসব পড়ে তুলেছিলেন। সব কিছুরই উত্থান পতন আছে, এটাকে তুমি প্রাকৃতিক নিয়ম বলতে পার।
অমর নীরবে শুনছিল সবকিছু।
-এই তেতুল গাছটার ঠিক নিচে শত শত কাসার ঘড়া ভর্তি সোনার বিস্কুট পোতা আছে, যেটা তোমাদের দশ পুরুষ ধরে ভোগ করলেও ফুরবে না।
-কি বলছেন আপনি!
-তাইতো বলছি, কার দোষে তোমাদের এ অবস্থা বা কে তোমাকে সাহায্য করল বা করল না সে সব ভেবে খামাখা সময় নষ্ট না করে নিজের দিকে তাকাও। তোমার যা আছে এবং তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছো সেখান থেকে শুরু কর। মনে রেখ তোমাদের বংশ পিতা শূন্য থেকে শুরু করে এ সব কিছু করেছেন।
রুপালী চাঁদটা একদম মাথার উপর চলে এসেছে। চারদিক যেন দুধে ধোয়া। ছায়াগুলো সব নিজ নিজ অবয়বে লুকিয়েছে। আপদমস্তক ধবধবে সাদা পোশাকাবৃত শ্বেত শুভ্র শ্মশ্রু আর মাথাভর্তি চুলের সে বৃদ্ধ জ্যোৎস্নার আলোয় মিশে যেন একাকার হয়ে প্রকৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।
-আমি আজ আসি, তবে যদি গুপ্তধন খোজার জন্য আমার সাহায্যের দরকার হয় তবে আমাকে স্মরণ করলেই আমি হাজির হব।
কথাটা বলে বৃদ্ধ যেন জ্যোৎস্না স্নাত প্রকৃতির সাথে মিশে গেলেন।
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ভোরের আলো যে এত সুন্দর তা জানা ছিল না অমরের। নিজেকে ভারি ফুরফুরে লাগল। উঠে দাড়াল অমর।
পূর্ব পুরুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অমর চৌধুরির চোখ দুটো জলে ভিজে গেল। তার পূর্বপুরুষেরা তার জন্য কিছুই রেখে যায়নি বলে মনের ভিতর যে ক্ষোভ জমা হয়েছিলো এই মুহূর্তে তাঁদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতায় তা অশ্রু বন্যা হয়ে দু’গাল বয়ে ঝরে পড়তে লাগলো।
এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ওর পর দাদার নির্দেশ মনে পড়ল -এই গাছটার ডাল পাতা ছাল ইত্যাদির ভাঁজে ভাঁজে এই এস্টেটের ইতিহাস লেখা আছে। গাছটার যত্ন নিও, আর গাছটা নিজের থেকে মরে না যাওয়া পর্যন্ত এটাকে যেন কেউ না কাটে।
মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করল যে সে তার পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ধন সম্পদ এক তিল পরিমাণ নষ্ট করবে না বরং নিজের যোগ্যতা দিয়ে উপার্জিত সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাবে।
সেদিন থেকেই অমর চৌধুরীর মধ্যে আমূল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে লাগলো। ওই গোপনে রক্ষিত ধনরাশি তার মনের মধ্যে অভূতপূর্ব এক শক্তি আর আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিল।
তার মন থেকে সব নেতিবাচকতা কপ্পুরের মত উড়ে গেল।
গদাধরকে সাথে নিয়ে প্রথমে সে পতীত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করল। বছর দুয়েকের মধ্যে সব জমি আর খাল বিল কৃষির আওতায় আনার ফলে সেখান থেকে পুরদমে উৎপাদন শুরু হল। এ সব দেখাশোনার জন্য কয়েকজন ম্যানেজারও নিয়োগ করল। তারপর ধীরে ধীরে পরিত্যাক্ত কারখানাগুলোও চালু করল।
গদাধর সার্বক্ষণিক ওর পাশে দাড়াল। ওদের আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের সুবাতাস অবলোকন করে পাচ বছরের মাথায় গদাধর চোখ বুজল। কিন্তু সে জীবিত থাকতেই তার দুই ছেলেকে ফেরত এনে অমরের সাথে কাজে লাগিয়ে দিল।
গাড়ীর ব্যাটারি কমজোর হয়ে গেলে গাড়ীটি সেলফ স্টার্ট নিতে ব্যর্থ হয়, তার মানে এই নয় যে গাড়ীটি অচল হয়ে যায়। সে গাড়ীকে চালু করতে হলে অন্য কোন পাওয়ার সোর্স থেকে জাম্প স্টার্ট করাতে হয়। মানুষও অনেকটা সেরকম। কোন কারণে কেউ জীবনী শক্তি হারিয়ে ফেললে কোন ঘটনা বা চিন্তা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে তার ভিতর প্রাণ সঞ্চারণ করে তাকে পুনরায় কর্ম চঞ্চল করে তুলতে পারে।
গুপ্তধন খোঁজার জন্য আপদমস্তক ধবধবে সাদা পোশাকাবৃত শ্বেত শুভ্র শ্মশ্রু আর মাথাভর্তি চুলের সে বৃদ্ধকে স্মরণ করার কোন প্রয়োজন আর হয়নি অমর চৌধুরির। বংশের সে লুকায়িত গুপ্তধন অমরের জীবনে সকল প্রেরণার উৎস হয়ে সে ভাবেই মাটির নিচে গচ্ছিতই রয়ে গেল।