Heading
আপডেট: 2023-09-28 14:18:57
জীবন সায়াহ্নে এসে কত স্মৃতি ওঠে ভেসে আগে পিছে
যা কিছু নিয়েছি টানি এখন দেখি শুন্য হাত দুখানি, সব মিছে।
তবু মন চায় একটু হাত বাড়ায়, দেখি ছুয়ে আছে কিনা গেছে
নিয়েছি এত যত্ন যার, সে শরীর শোনে না কথা আর,
পড়ে রয় নিশ্চল নিথর।
কত স্বপ্ন দেখা, কত ছবি আঁকা, সব পড়ে থাকে ফাঁকা
যেন দিনের শেষে, ছোট্ট শিশুটি হেসে
খেলা ফেলে গেল চলে, ঘুমোতে স্বপ্নের দেশে।
খেলার ছলে মিছে, গড়েছিল যা পড়ে রল সব তা পিছে।
দেখ ভেবে মন, ভাব যা অমুল্য রতন, সব তা শিশুর খেলার মতন।
যা কিছু গড়েছ এ ধরায়, কত মমতায়
এ ভবে যা কিছু যত, মাটি হবে সব, তোমার দেহের মত।
জীবন চলা এ ধরায়, মৃগতৃষ্ণায় ছোটা ছাড়া আর কিছু নয়
যা কিছু তুমি নেবে নিজের ভেবে, এ ধরায়
সব পড়ে রবে মাটির এ ভবে, হোক তা ন্যায় বা অন্যায়
খাটি বা অখাটি, হয়ে যাবে একদিন সব মাটি।
যা কিছু দেবে নিঃস্বার্থ ভাবে, সবটুকু তার শান্তি দেবে আত্মার
রবে সব অবিনশ্বর অক্ষয়, থাকবে তোমার আত্মার মণিকোঠায়।
অনন্ত আত্মা, ছোট্ট বিধাতা, বাস করে তোমার মাটির ঘরে
চলে যাবে শেষে ঊর্ধ্বাকাশে, তাঁর আদি নিবাসে।
স্বর্গীয় আত্মা এসে, ছিল মাটির আবাসে, হয়ে দুদিনের অতিথি
কবে যাবে ফিরে তাঁর নিজ ঘরে, সারাক্ষন করেছে সে আকুতি।
না বুঝে সে কথা, টানাটানি করেছো তাঁকে অনর্থক অযথা।
ভেবে দেখ মন, এইতো জীবন
এ ভাবেই কাটে সময়, এসবের কি অর্থ হয়!
একদিন হবে সব সাঙ্গ, হবে জীবনের সব মোহ ভঙ্গ।
মেরু থেকে মেরু, পাহাড় সমুদ্র মরু কিম্বা তরু
করেছি কত মাতামাতি, ছুটাছুটি সারা দিবারাতি।
করেছি ভুল সারা জীবন, আত্মাকে ভেবেছি মন!
বুঝিনি এ জীবনে, ‘মন ভরে ভোগে’ কারণে অকারণে
যত দাও তাকে স্বর্গ মর্ত, সময়ের সাথে সে হয় অতৃপ্ত।
একমাত্র ত্যাগ আত্মার আহার’, দেয়াতে থাকে সে প্রশান্ত
সে সব কালজয়ী অনুভব, যা স্থায়ী অনন্ত।