Heading
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩
দাও তুমি বিধি, আমি প্রতিনিধি, তুমি মহান বিধাতা
বলাও যা তুমি, তাই বলি আমি, তোমার কথায় শেষ।
কাহিনীকার তুমি, কুশীলব আমি, তুমিই সর্ব জ্ঞাতা
তুমি খাও মধু, আমি মধুকর শুধু, হয়ে যায় নিঃশেষ।
আমি গান, তুমি সুর তান লয়,
কথা ভিন্ন হয়, তবু সুর একই রয়।
আমি অনিত্য নশ্বর, তুমি চিরায়মানা ঈশ্বর।
আমি বালু ধুধু, তুমি মরিচিকা শুধু
ছুঁতে গেলে দূরে চলে যাও, কেবলি ভুলাও আমার।
তোমার এ খেলা, খেলি আমি সারাবেলা
রবি তুমি, আমি তোমার আলোর ভেলা।
রবি ডুবে যায়, তবু তোমার বেলা শেষ নাহি হয়
ডোব তুমি, ডুবি আমি, বেলা আমার শেষ হয়।
পাখি আমি ডানা তুমি, উড়ি আমি উড়াও তুমি
না জানি কখন যে ডানা থেমে যায়!
মাঝি আমি, দাড় তুমি
মাঝ দরিয়ায়, কখন যে দাড় ভেঙে যায়!
আমি কায়া, তুমি ছায়া
জানে মোর মন, তুমি আছো সারাক্ষণ
দিনে রাতে, ভিতরে বাহিরে, যেন শরীর ও মন।
আমি মরি মরি, তুমি কেন কর লুকোচুরি
মাঝে মাঝে হায়, তোমায় দেখিতে না পায়।
এ মনুষ্য জ্ঞানে, ভাবি মনে অন্তরে
তুমি বুঝি মোরে, ছেড়ে গেলে চিরতরে।
তোমার গৃহে করি বাস, আমি দাস অসহায়,
দাসের যত সদায়, জানি হয় সব তোমার কৃপায়।
ভাবি মনে মনে, আমার এ জীবনে ঘটনা যত
ভাল মন্দ, দুঃখ আনন্দ, বন্ধুত্ব বা দ্বন্দ্ব, ঘটেছে শত শত;
জীবন সায়াহ্নে এসে, আনমনে বসে, হিসেব মিলায়
দেখি তার, কিছুতে আমার, ছিল না কোন দায়।
জীবনভর ছুটে, পাহাড় চুড়াতে উঠে, পিছন ফিরে দেখি
জীবনে ঘটেছে কত কি, কিন্তু আমি নাই কোথাও, একি!
যা কিছু ঘটেছে এ জীবনে, সবই তা প্রভু তোমার কারণে।
জীবন ভরি, ছোটা ছুটি করি, কত খানে কত কোণে,
মর মর পথিক সকল, কোথাও না পেয়ে একফোটা জল
ফিরে এলে, দেখে শুখনো কলে, পড়িছে জল করে কলকল।
পিপাসা মিটিতে পথিক, দাঁড়ায় সোজা হয়ে ঠিক।
‘একি! এ দেখি চাপ কল, এ থেকেই তো পড়বে জল’!
ভাবে মনে মনে, হয়েছে সব তার বুদ্ধির কারণে।
জানি এ দুনিয়ায় কেউ কিছু নয়, সব হয় তোমার ইচ্ছে মত!
যা করার তা কর তুমি প্রভু, জানি কিন্তু বুঝিনা তবু, ধিক।
কর তুমি, ভাবি করি আমি, সব আমার কৃতিত্ব যত,
তুমি কর তোমার কর্ম মালিক, করি আমি চিন্তা অলীক।