আমি তোমার আকার, তুমি নিরাকার।

ডুব দিয়ে ধ্যানে, মুক্ত হয়ে শরীরে মনে
হে অন্তর্যামী! এ ধরায় আমি, মিলিবো তোমার সনে।

সে মিলনে পাব স্বর্গীয় স্বাদ, আর সব বাদ
হোক না তা ক্ষনেকের।
তা অমৃত, জানা নেই সেতো অনেকের।

এ ভবে, যে একবার পাবে, স্বর্গের সে আস্বাদ,
মনে হবে তার কাছে, এপারের সব মিছে বিস্বাদ।

এপারে যা কিছু, সবি তা সীমিত মাথা পিছু,
মেপে তাই বুঝে নিতে হয়, সব কিছু।
সময়ের ধাক্কায়, হিসেবের খাতায়, সব শেষ হয়ে যায়।

ওপারে যা কিছু যত, সব তা অগনিত অসীম
নিক্তি নেই সেথা, মাপামাপি হয় যা সব তা সসীম।

ওপারেতে নেই কোন তাড়া,
সময় মেনে, দেয় না সেখানে কেউ কোন সাড়া।
সময় কি? ওপারে কেউ না জানে, নেই কোন অভিধানে।
নেই কোন বিশেষ, হয় না কিছু শেষ, শুধু শুরু ছাড়া।

হিংসা বিদ্বেষ, অভাব বা শেষ, সব এপারের রীতি
মুখোশে ঢাকা ভান বা নাধর্মী জ্ঞান, অনুভব অনুভূতি
ওপারে সবই নিষিদ্ধ তার, নেই জানার অনুমতি।

ওপারের সব অনন্য, এক অভিন্ন, সবি কেবল ভাল
সবই ভালবাসা ভক্তি, সব শক্তি, সব আলো।
ফুল নেই কোন, আছে শুধু জেন, সুবাসিত গন্ধ
কায়া বিনা ছায়া, ছায়াই ছায়াই হয় না কোন দ্বন্দ্ব।

এপারের জীবন, এ বিশ্ব ভুবন, আর কিছু নয়,
সব সময়, শুধু থাকা অপেক্ষায়।
পাব কি পাবনা, আছে কিনা তাও অজানা
অনিশ্চিত থাকে সবাই, মনে ভরা সংসয়।

দ্বারের এপারে সব কিছু ব্যয়,
সব দুঃখ দিয়ে শেষ হয়।
ওপারেতে সব আয়, ব্যয় কথা অভিধানে নাই।
এপারের যা কিছু,ধাবিছ পিছু পিছু
দেখ যা আছে, সব তা মিছে, শেষ হয়ে যায়।

স্রষ্টার ঘর যদি হয় আকাশ, ভবে যদি সে না করে বাস,
স্রষ্টা যদি না থাকে সৃষ্টির মাঝে, সে সৃষ্টি পুরোটায় বাজে।
জানি তুমি নিখুঁত প্রভু, তোমার সৃষ্টি কি খুঁত হয় কভু!

এপারে বাস আমার, প্রভু ওপারে তোমার,
তফাৎ শুধু আবাসের তোমার আর আমার।
তোমাতে থাকি আমি, আর আমাতে তুমি,
পৃথক কিন্তু এক, অভিন্ন একাকার।

এপারটা কিঞ্চিৎ আমার ঈশ্বর, ওপার পুরোটা তোমার।
আমি তোমারই আকার, তুমি নিরাকার
এপার ওপার দুপার প্রভু, পুরোটা তোমার একার।