জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'ছায়া বিনা কায়া'।

আপডেট: ০৬ Jun ২০২৪, ১২:২০

ছায়া বিনা কায়া 


আত্মা এক ছায়া, বাধতে পারে না তাকে কোন মায়া।     
 কায়া ছেড়ে ছায়া, স্বর্গবাসে নিজ আবাসে ফিরে যায় চলে 
অবিনশ্বর বিধাতার অংশ হবে বলে।        
নশ্বর শরীর পড়ে রবে, মাটির এ ভবে।   
 
শরীরের কোন অঙ্গ কোন ছলে, কেটে পড়ে গেলে, 
শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হলে,  
সেটাকে আর শরীর নয়, কাটা অঙ্গ বলা যায়।    
  
ব্যাথা হলে হয়, দেহের কাটা জায়গায়, 
কেটে পড়ে থাকা অঙ্গে নয়।        


তেমনি, শরীর পিছে ফেলে, আত্মা গেলে চলে, 
যা কিছু হয় তার, সে শরীরের উপর,      
নিজ আবাসে বসে, তাতে কিছু যায় না আসে অমরাত্মার।     
 
স্বর্গ আত্মার নিবাস, নেই তার কোন বিনাশ   
সেখানে নেই কোন কায়া, সবই কেবল ছায়া।   
ছায়ার নেই ক্ষতি, কোন অনূভুতি, নেই কোন মায়া   
স্বর্গে নেই প্রয়োজন কোন মনুষ্য জ্ঞান, কোন ঔষধ বা যন্ত্র যান। 
   
মৃত্যু, সেত মহান, বিধাতার অপূর্ব এক দান    
পঙ্কিল দেহের আবাস থেকে, পূণ্য আত্মার প্রস্থান।       
যিনি করেন দুটি সত্ত্বা এক, তিনিই করেন তা পৃথক   
এই অমোঘ বিধান, সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার সবচেয়ে বড় কল্যাণ। 


না থাকলে এ বিধান তাঁর, কি যে হত এ ধরার!   
দেখে কি কেউ ভেবে? সব উন্মত্ততা ছেড়ে একান্তে নীরবে।   
       
যা কিছু শরীর, সেত পৃথিবীর অংশ,  
একদিন তা সব হবে ধ্বংস।    


শরীরের ওষুধ পথ্য, পৃথিবী যোগায় তা নিত্য 
তারপর শেষে, সব রং ঢং নির্বিশেষে
নিজ বুকে তারে, নেবে মায়ের আদরে।           
 
মৃত্যু, কোন রোগ নয়, শক্তিরূপি আত্মাকে মুক্তি দেয়,               
তার কি কোন অসুধ হয়!              
   
বিধাতার অসীম দৃষ্টি, তিনি করেছেন সৃষ্টি, 
এ প্রকান্ড বিশ্ব ব্রমান্ড।   
শুধু তাঁরই ইচ্ছে পূরণে, তাঁরই প্রয়োজনে।  
  
জীবন মানে, সুতোর টানে উড়ন্ত এক ঘুড়ি। 
বাতাসে কেঁদে বাতাসে হেসে, বাতাসে ভেসে চলিছে উড়ি।  


প্রভুর ঘুড়ি, চলে প্রভুর কথায় উড়ি, 
নাটাই প্রভুর হাতে।  
 ভাবি অবিরত, আমি ঘুড়ি, বাতাস না সুতো, 
কোনটা আমি? আর কোন মতে!