জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'জীবন মানে কি বাচার লড়াই!'।

আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৫:৩৯

জীবন মানে কি বাচার লড়াই!

 

যেই ভূমিষ্ঠ হয়, কোন শিশু এ ধরায়
দলে দলে সবে মিলে, যেন উঠে পড়ে লাগে
একে একে মারবে তাকে, কে কার আগে।

মশা মাছি রোগ নানা, ক্ষুধা জ্বালা দুর্ঘটনা
হানা হানি হিংসা বিদ্বেষ।
কাঁধে কাঁধ মিলে, দাঁড়ায় সারি সারি সকলে
এ ধরা থেকে সরাতে তাকে, একাট্টা সবাই নির্বিশেষ।

কি নিদারুন বাঁচার খেলা,
নিষ্পাপ শিশু খেলে সারা বেলা!

ক্ষুধা বসে যেঁকে, তাড়া করে অসহায় শিশুকে
কেঁদে বুক ভরে, চিৎকার করে ডাকে মাকে।

শিশু দিনে দিনে বেড়ে, মায়ের আঁচল ছেড়ে
মনের আঁচল ধরে, ডুবে যায় মায়ার ঘোরে।
দিন যায় শিশু বড় হয়, দুধ আর লাগে না ভাল তার
খেতে চায় মাছ মাংস রুটি, দাঁতে কেটে কুটি কুটি।

শত্রুকে আঘাত হেনে, শিশু বড় হয় দিনে দিনে।
গায়ে জোর হলে, রোগ জীবাণুরা বলে;
আচ্ছা বাছা, নিজেকে এখন বাচা
দেখি কত ভুঁই যাস তুই, কলে কৌশলে।

কষ্টে বানানো তোর ঘরে,
দুর্বল জাগা খুঁজে ভাঙ্গবে চোরে
নিয়ে যাবে চুরী করে, যাকিছু পাবে ভিতরে।
ঘুণে খায় কাঠ, উপরে সব ফিট ফাট
দুর্বল যা পায় কুরে কুরে সব খায়, করে লোপাট।

যারা বেচে যায় তারা পা বাড়ায়, শৈশব ছেড়ে যৌবনে
কিছু লোক শেষে বার্ধক্যে এসে, বাচে টেনেটুনে।

চলতি পথে কত দেনা হয়
কত শত কাটে ফাটে গাঁয়ে পায়ে রক্ত ঝরায়।
জীবন যেন অন্য কিছু নয়, কেবল বেচে থাকার লড়াই।
প্রতি ক্ষনে জনে জনে, যায় ছেড়ে লড়ায়ের ময়দান
কোথা যায় তারা! আজো তা রহস্যে ভরা!
হোক তারা পাপি বা মহান।

শিশুটি সারা বেলা ধরে, করিছে লড়াই বাচার তরে
লড়াকু যারা, বেচে থাকে তারা কিছু বেশী দিন ধরে।
কিন্তু হায়! সবাই চলে যায়, দিনের শেষে
পরাভূত হয়ে সঠিক সময়ে, অজানা কোন দেশে।

জীবন মানে কি তবে হায়, অন্য আর কিছু নয়
কেবলি বাচার লড়াই!