Heading
আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০২৩, ১২:০১
সমুখে শীর্ণ জলধারা, উপরে পট কচুরিপনা ভরা
নিচে প্রবাহ বহে নীরবে ধুক ধুকিয়ে।
ভরা বর্ষার স্রোতে ভাসিয়ে নেয় তাতে জঞ্জাল যত
তখন যারা দেখেছে সে ধারা এখন চিনবে না তারা।
কালের স্রোতের কাছে সব নত পরাভূত।
যৌবন হয়েছে ফিকে, কাঠামোটা আছে টিকে কোনমতে
দুর্বল দেহ, নেই কোন মোহ, কেবল জীবনটা আছে তাতে।
যৌবনে সবে করে এ ভবে, কত রঙ ঢঙ।
পথের শেষে বার্ধক্যে এসে
সব জামা পরা কায়া, যেন কাকতাড়ুয়া এক সঙ
যেমন ভরা নদী এখন হয়ে গেছে গাঙ।
দিগন্তে হেলে পড়েছে রবি, আঁধারে ডুবিছে সবি
বাজে সময়ের ঘন্টা ধ্বনি, ওপারের ডাক শুনি।
পাতাছাড়া গাছ, দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে দাঁড়িয়ে পাড়ে
উঁচিয়ে শীর্ণ ডাল, যেন জীবিত কঙ্কাল!
যে হয়েছিল পুষ্ট একদিন যার দানে
তারই ছায়া বাড়িয়ে কায়া বহু গুণে
পড়িছে ওপারে জীবনের এই ক্ষণে।
কত কাল ধরে কত বাঁক ঘুরে
দুধারের ছিল যা সব তা, ভেঙ্গে চুরে
চলেছে ধেয়ে সামনে চেয়ে, ধার ধারেনি কিছু তখন
ভেবেছে কেবল সামনে চলার নামই জীবন।
কত নাম ধাম কত আয়োজন
আত্মজাহির করাই ছিল যার জীবন।
এখন চোখ খুলে দেখে দাঁড়িয়ে সমুখে প্রশস্ত ধারা
যত নাম যশ তা সব গিলে করবে সারা।
দিগন্তে ডুবিছে বেলা সামনে খোলা মোহনা
ভাংগিছে ঢেউ, কোথা আজ নেই কেউ
গর্জিছে তাতে ফেনা।
আজি শেষ হবে সব লেনাদেনা এ ভবে
হরিষে বিষাদে সব শেষ হবে।
ডুবিলে রবি দিগন্ত পারে, ডুবে যাবে সবি ঘন আঁধারে।
এ ভুবনে যা কিছু যত, ছোট বড় সহস্র শত
সবই হারাবে নিজেস্বতা
করতে অসীমের সাথে একাত্বতা।
তবে এ জীবন চলা, কার লীলা খেলা!
কেন এত গ্লানি আর কেনই বা এত শূলানি
সে কথা কেউ এখনও বলেনি।