Heading
আপডেট: 2023-04-20 13:20:14
নৌকা চলে জলের তালে তাল মিলিয়ে
নদীর স্রোতে গতির সাথে মানিয়ে নিয়ে।
জলের উপর ভাসতে হবে
আবার সে জল থেকেই বাচতে হবে।
ভাসানো ডুবানো জলের খেলা, একেই বলে ভবলীলা
এমনি রীতি এমনি ধারা, জগত সংসার এক ভবকারা।
জল না হলে নাও না চলে, বিধাতার এ জগত ভবে
আবার ঢুকলে সে জল নাও খানি যে তলিয়ে যাবে।
জলই জীবন আবার জলই মরণ
জলই ভাসায় জীবন বাচায়, জলই আবার মরার কারণ।
করে ভর জলের উপর, নাওখানি ভেসে থাকে
কখনো বা বৈঠা মেরে
আবার কখনো বা পালের জোরে
জীবন তরী বয়ে যায় এগিয়ে একে বেকে।
বৈঠা যদি না ঠেলে দেয়, পালে যদি বাতাস না পায়
নাও যে তবে থেমে যাবে
জলে ডুবে ভবলীলা সাঙ্গ হবে।
কারিগরে নৌকা বানায়
নদীর জল যার জীবন সহায়।
যতই থাকুক তাড়া, দাড় আর হাল মাঝি ছাড়া
বড় অসহায় এ দুনিয়াই, এ ভবতরী পুরোপুরি!
ছিড়বে সে পাল, যখন তখন সকাল বিকাল
নিশ্চয়! ভাঙ্গবে সে দাড় কুলে কিম্বা মাঝ দরিয়ায়।
এ সব ভবের খেলা, নাও যে কেবল কাঠের ভেলা
কাজ শুধু তার, এ ভবসিন্ধু করা পার।
জলের তালে নাও যে চলে, বিধাতার এ ভবধামে
বৈঠাও তাঁর আবার পালও তাঁর,
বাতাস আর জলও যে যার
যা করার সব করেন তিনি, চলে সব তাঁর শাসনে।
নাওয়ের ধর্ম করা ভবকর্ম, তাঁর কাজ সব ভবলীলা
নাওয়ের জন্য যা মরন বাচন, তাঁর জন্য তা কেবল খেলা।
নিত্য জ্ঞানে জীবন মানে, ভবকর্ম আর ভবলীলা!
এ জগত সংসার কিছু নয়, বিধাতার ভবকারা
সবাই কয়েদি এক মেয়াদী, এখানে শুরু এখানেই সারা।
অবশেষে দেবদূত বেশে, ভবতারিণী এসে হাজির হয়
মৃত্যু ডেকে ভববন্ধন থেকে, নরাধমকে মুক্তি দেয়।
সাঙ্গ হয় ভবলীলা তাঁর, জগত সংসার সৃষ্টি যার
নরাধম মুক্তি পায়, তার ভবতরী হয় ভবসিন্ধু পার!