জীবন থেকে নেয়া কাহিনী অবলম্বনে রচিত ধারাবাহিক উপন্যাস 'জীবনের অন্যপিঠ' পর্ব -৯।

আপডেট: 2023-07-09 14:51:11

জীবনের অন্যপিঠ -৯ 

 

অমর এসে বসলো নীলিমা চৌধুরী আর লাবিনীর পাশের খালি চেয়ারটাতে।
-রামদয়ালকে বেশ কিছু দিন দেখি না, কোথায় থাকে কি করে, তা জানিস কিছু খোকা?
গত কয়েক মাসে রামদয়ালের সাথে অমরের কথা হয়েছে ঐ একবারই। তারপর অবশ্য দেখেছে ওকে কয়েকবার, অনিরূদ্ধর সাথে ওর ব্যপারে কথাও হয়েছে দু একবার। কিন্তু নানান ব্যস্ততার মধ্যে ওর আর কোন খোজ নেয়া হয়নি।
প্রয়াত জমিদার পত্নি, যাকে সে চৌধুরী মা বলে সম্বোধন করে তার অমন নিজেকে গুটিয়ে নেয়া অবস্থা দেখে রামদয়ালও অনেকদিন আসেনি তার সাথে দেখা করতে। স্বামীর মৃত্যুর পর নীলিমা চৌধুরীর ওরকম ভেঙ্গে পড়া দেখে কেমন যেন একটু স্তম্ভিতও হয়ে পড়েছে রামদয়াল।

রামদয়াল আজন্ম এ বাড়ীতেই। জমিদার আমির চৌধুরীর খুব পছন্দের মানুষ রামদয়াল। নীলিমা চৌধুরীও রামদয়ালকে খুব পছন্দ করে। নীলিমা চৌধুরী বিভিন্ন জায়গাই চাকুরী করার সময় এবং চাকরীর শেষ কয় বছর রাজধানীর বাড়ীতে থাকার সময় তার ওখানে রামদয়ালই সব সময় যাতায়াত করতো।
নীলিমা চৌধুরী বিভিন্ন সময় ছুটিতে এখানে যাতায়াতের সময়ও বরাবর রামদয়ালই তার সাথে থাকতো।
নীলিমা চৌধুরীর আরো একটা কন্যা সন্তান আছে অনিমা, অমরের থেকে কয়েক বছরের বড়। লেখাপড়া শেষে বিয়ে হয়েছে, স্বামী ধনাড্য ব্যবসায়ী। স্বামী সংসার নিয়ে ভালো আছে অনিমা।
বড় মেয়ে অনিমাকে নিয়েই থাকতেন নীলিমা চৌধুরী। অমর একটু বড় হলে বাবার কাছেই থাকতো, তারপরতো পড়াশোনার জন্য বিদেশেই কেটেছে ওর সময়।
অনিমার বিয়ের পর একদম একা হয়ে যান নীলিমা চৌধুরী। তায়তো আরো বেশী বেশী কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেন। অনেকদিন পরপর রামদয়াল গেলে ওকে আর ছাড়তেই চায়তেন না।
রামদয়ালকে ছাড়তে চায়তেন না আমির চৌধুরীও। কাজের বাইরে আসলেই আমির চৌধুরী যেন কেমন হয়ে যেতেন। একদমদম একাকী অসহায়। কত কথা বলতেন রামদয়ালের সাথে। ও নির্বাক হয়ে শুনতো কেবল।

-রামদয়ালের একটু খোজ খবর রাখিস। ওরতো কেউই নেই এ তল্লাটে। তোর বাবা ভীষণ পছন্দ করতো ওকে।
একটু থামলেন নীলিমা চৌধুরী।
-আগেতো কাজ নিয়ে থাকতো, এখন তাও নেই, বড় একা বেচারা!
একটা নিঃশ্বাস টেনে অন্যমনষ্ক হয়ে গেলেন নীলিমা চৌধুরী।
অমর আর লাবনী দুজনেই তাকালো তার দিকে।

আমির চৌধুরীর সাথে নীলিমার বিয়ে হয় পারিবারিক পর্য্যায়ে দেখাশোনার মাধ্যমে। ওদের বিয়েটা পারিবারিক যোগসূত্রের মাধ্যমে তায় বিয়ের আগে কেউ কারো সম্পর্কে জানতো না। আর প্রকৃত অর্থে ওদের দুজনের কারোরি বিয়ে নিয়ে তেমন কোন উচ্ছাস ছিল না।
আর বিয়ের পরও ওদের কর্ম জীবনের তাড়না ওদের একে অপরকে গভীর ভাবে চেনার মত সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলো।
স্বামী স্ত্রীর বন্ধনটা ওদের মধ্যে দুটো সন্তান জন্ম দেয়ার মধ্যেই মোটামুটি সীমাবদ্ধ ছিল।
আমির চৌধুরী বাবার পড়ন্ত বয়সের সন্তান। একটা ভাই আর দুটো বোনের পর তার জন্ম। বাবার সাথে বয়সের পার্থক্য ছিল প্রায় চল্লিশ বছরের। ওর পড়াশোনা শেষ করতে করতে বাবা বৃদ্ধ তখন।
বড় ছেলের মত আমির চৌধুরীকেও পড়াশোনার জন্য বিলেত পাঠিয়েছিলেন ওর বাবা। পড়াশোনা শেষ করে বাবা ওকে ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন নিজের কাছে।
ছেলের লেখাপড়া আর গবেষনার প্রতি যেহেতু ঝোক তায় তাকে সরাসরি জমিদারী পরিচালনার কাজে জড়িত না করে তিনি বেচে থাকা পর্যন্ত ছেলেকে অধ্যাপনা আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাবা বেচে থাকা পর্যন্ত ওভাবেই জীবন কাটিয়েছেন আমির চৌধুরী।
আমির চৌধুরী ছিলেন বাবার খুব ভক্ত। তায় নিজের পড়াশোনা আর গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও সব কিছুর ফাকে জমিদারীর বিভিন্ন কাজে কর্মে বাবার পাশে দাড়াতেন।
আমিরকে নিজে পছন্দ করে জমিদার পরিবারে বিয়ে দেন বাবা আসগর চৌধুরী।
আমির চৌধুরী বিলাতে লেখাপড়া শেষ করে ফিরে দু মাসের মাথায় দেশের একটা নাম করা ইউনিভাসিটিতে অধ্যাপনায় যোগ দিয়েছিল।
বিয়েটা তখনই হলো ওদের। বিয়ের এক বছরের মাথায় অনিমা আর ওর ঠিক চার বছর পর অমরের জন্ম।
আমির চৌধুরী পিএইচডি করার মনস্ত করলেন, ওর চাকরী তখন পাচ বছর ছাড়াল।
গবেষণার বিষয় ‘মানুষে মানুষে ভেদাভেদের মূল কারণ কি ধর্ম’!
আধুনিক কালে বেশ অনেকগুলো যুদ্ধ আর জাতি নিধনের ঘটনা ঘটেছে ধর্মকে নিয়ে। বিশ্বে চলমান প্রায় প্রতিটি দ্বন্দের মূলে ধর্মে ভেদাভেদের একটা গন্ধ তিনি লক্ষ করেন।
বর্তমান এবং আগত দিনে সব দ্বন্দই ধর্মভিত্তিক মূল্যবোধের দ্বন্দে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাষের ভিত্তিত্বে তিনি সমাধান স্বরূপ প্রতিটি ধর্মের ঐশ্বিক দিক আর ব্যবহারিক দিকের মধ্যে একটা সীমারেখা টেনে সব ধর্মের ব্যবহারিক দিক ঘিরে একটা গন্ডি অঙ্কনের মতবাদ ব্যক্ত করেন। গন্ডিটুকুর স্বাতন্ত্র্তা বজায় রেখে, অর্থাৎ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সহমর্মিতার মনোভাব গড়ে তুলে, এ সব কিছুর উদ্দেশ্যের দিকে দৃষ্টি রেখে সব ধর্মের মধ্যে একটা অভিন্ন স্থান বের করে সহঅবস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টির একটা ভাবনার অবতারনা করার প্রয়াস পান তিনি।
একজন বিপদগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ শুনে, তার জাত ধর্ম পরিচয় জানার আগেই মানুষের মনুষ্যত্ব বোধকে যে নাড়া দেয় সেটাকে তিনি মানব ধর্ম আখ্যা দিয়ে মানুষের সে সহজাত প্রবৃত্তিকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের উপরে স্থান দিয়ে তা প্রচার করেন।
এ ব্যাপারে গবেষণা করার সময় বিষয়টা নিয়ে ওরই কিছু কাছের মানূষ ওর সমালোচনা করতে শুরু করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল আমির প্রকারন্তে সবাইকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
আর পরবর্তিতে গবেষণা শেষ করার পর আগের সূত্র ধরেই মূল গবেষণাটি বিস্তরিত না পড়েই ইর্ষাবসতঃ একটি মহল সমালোচনার ঝড় তুললো।
আমির চৌধুরীর গবেষণা দেশ ছাড়াও লন্ডন, মিসর এবং ব্যঙ্ককে প্রকাশিত হলো। দেশের সব গুলো পত্র পত্রিকায় মন্তব্য বেরোলো। সবাই এর ভূয়শী প্রশংসা করলেও বিশেষ কয়েকটি পত্রিকা খুব খারাপ ভাবে সমালোচনা করে নানা রকম কূপ্ররচনার ঝড় তুললো।
আমির চৌধুরীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা বিতর্কের অবতারনা করলো পত্রিকাগুলো। যার প্রচ্ছন্ন ঈঙ্গিত ছিল তার গবেষণার সুপারভাইজার, প্রফেসর ডঃ রেবেকা বিশ্বাসের সাথে ওর সম্পর্ক নিয়ে।

প্রফেসর ডঃ রেবেকা বিশ্বাস চিন্তা চেতনায় খোলামেলা এবং আধুনিক একজন মানুষ। বয়স প্রায় পঞ্চাশের কোটা ছুঁই ছুঁই করলেও শরীরে বোঝা যায় না।
তিনি দশম শ্রেণীতে পড়া একজন কন্যা সন্তানের জননী। ওর স্বামী ডঃ মেহবুব বিশ্বাস ওই একই বিশ্ববিদ্যলয়ের একজন সিনিয়র প্রফেসর।
গবেষণার কাজে আমির চৌধুরী ছুটির দিন গুলোতে প্রফেসরের বাসায় যেত এবং ঘন্টার পর ঘন্টা আলোচনা করে কাটাত।
আমির চৌধুরীর স্ত্রী নীলিমা চৌধুরী সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেছে বেশ কয়েক বছর।
এ সময়টাতে যদিও আমির আর ওর স্ত্রী একই বাসায় বসবাস করতো কিন্তু ওরা নিজ নিজ কাজ নিয়ে খুবই ব্যস্ত থাকতো। আমির চৌধুরীর গবেষণার ব্যপারে কোনদিনই খুব একটা আগ্রহ দেখাতো না নীলিমা। বরং অন্যান্যদের সমালোচনায় সে বিরক্ত হতো।
এ বিষয়ে আমির চৌধুরীর সঠিক তথ্য সরবরাহের প্রয়াসকে নীলিমা দোষমুক্ত করার অপপ্রয়াস মনে করতো। স্বামী সম্পর্কে এ ধরণের আলোচনা ওর চাকরী জীবনে অনেকক্ষেত্রে ওকে বিব্রত করে বলেও অভিযোগ করতো নীলিমা।

অনিমার বয়স তখন পাচ বছর। নীলিমা মাঝে মধ্যে ছুটির দিনে মেয়েটাকে একটুও সময় না দেয়ার জন্যও স্বামীকে অভিযুক্ত করে অসন্তোষ প্রকাশ করতো।
খবরের কাগজে ওর গবেষনা নিয়ে নানা রকম সমালোচনার ঝড় উঠলে আমির আশা করেছিল যে নীলিমার কাছ থেকে কিছুটা হলেও সহানুভূতি পাবে। কিন্তু নীলিমা বরং ও ধরণের সমালোচনা ওর ক্যারিয়ারের জন্য অন্তরায় বলে বিরক্তি প্রকাশ করল।
এ সময় আমির চৌধুরী আরো বেশি করে ডঃ রেবেকার দিকে ঝুকে পড়তে লাগলো। এ ব্যপারে রেবেকা বিশ্বাস, ওর স্বামী আর কন্যার দিক থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করতো আমির।
ডঃ রেবেকা বিশ্বাস সবসময় তার সাধ্যমত আমির চৌধুরীকে সব ধরণের মানসিক সমর্থন দান করতেন। ওর অশান্ত মনটাকে শান্ত করার জন্য ডঃ রেবেকা মাঝে মধ্যেই আমিরকে নিয়ে কখনো একা আবার কখনো স্বামী সন্তানকে সাথে নিয়ে ওর গাড়ীতে করে দূরে বেড়াতেও যেতেন।
একবার কয়েকদিনের ছুটিতে আমির ওর প্রফেসার ডঃ রেবেকাকে ওদের বাড়ীতে নিয়ে গেল। উদ্দেশ্য পুরো ব্যপারটা তিনি আমিরের মা বাবাকে বুঝিয়ে বলবেন।
প্রকৃতি প্রেমী ডঃ রেবেকা বিশ্বাস, চৌধুরী এষ্টেটের প্রকৃতির রাজ্যে হারিয়ে নিজেকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করতে চায়লেন। ছুটি বাড়িয়ে অনেক দিন থাকলেন সেখানে। শেষ পর্যন্ত প্রফেসর ডঃ মেহবুব আর ওর মেয়ে ওখানে স্বশরীরে হাজির হয়ে চৌধুরী ষ্টেটের অরন্যের গভীরে ডুবে থাকা রেবেকাকে উদ্ধার করলো।
চৌধুরী এষ্টেটে স্ত্রীর ওর অবস্থা দেখে ডঃ মেহবুব বিশ্বাস স্মীত হেসে মেয়েকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করলেন -শীলা তোমার মা প্রেমে পড়েছে।
এ ধরণের মন্তব্য আরো অনেকে করলো এবং প্রকৃত অর্থেই চৌধুরী এষ্টেটের প্রেমে পড়েছিলেন ডঃ রেবেকা বিশ্বাস।
ডঃ রেবেকা বিশ্বাস পুরো ব্যপারটা আমিরের বাবা মাকে বুঝিয়ে বললেন।
-আমির মানবতার কথা বলেছে, কোন ধর্মকেই ও খাট করেনি, বরং সকল ধর্মাবলম্বী ধার্মিক লোকগুলোকে শান্তির দূত হিসাবে আখ্যায়িত করেছে ওর গবেষণায়। ও দেখিয়েছে প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্ম শিক্ষাই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না। কেবলমাত্র অপব্যাক্ষা আর ব্যাবহারিক দিকের চাক্ষুষ ভিন্নতা এক ধর্মের মানুষের অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি প্রথমে অপছন্দ তারপর ঘৃনার জন্ম দেয়।
-আমির আরো দেখিয়েছে যে বিধাতা বৈচিত্রে এবং বৈষম্যে বিশ্বাস করে। তায়তো তাঁর সৃষ্টিরাজ্য; প্রাণী আর প্রকৃতিতে এত বৈষাদৃষ্য আকার আকৃতি, এত ভাষা এত কৃষ্টি। সৃষ্টির সবকিছুই বৈচিত্রময় আর অদ্ভুত এর প্রতিনিয়ত পরিবর্তন।
-আমিরের মতানুযায়ী, সৃষ্টিকর্তা চায় তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে এক একটা জীবন শেষ হয়ে যাক। বিধাতা চায় মানুষ চরম সত্যকে খুঁজতে খুঁজতে বিহব্বল থেকেই জীবনাতিপাত করূক। তাহলে ধর্মের কথা নিয়ে এত হানাহানি কেন? সবাই সবার ধর্ম চর্চা করার মাধ্যমেই জীবনের পথে এগিয়ে যাক, এরই মাঝে টুপ টুপ করে জীবন ঝরে পড়ুক বিধাতার অমোঘ নিয়মে।
রেবেকা বিশ্বাসের কথায় আমিরের বাবা মা ছেলের জন্য গর্ববোধ করলেন। সবার কাছ থেকে শোনা আর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছেলে সম্পর্কে ভূল কথা পড়ে আমিরের প্রতি ওদের যে কিছুটা বিরূপ মনোভাব জন্মেছিল তার অবসান হলো।
আমিরের মা ওদের ছেলে সম্পর্কে ওর স্ত্রী অর্থাৎ নীলিমা ওদেরকে যে রকম বলেছে এবং এসময় আমিরের পাশে না দাড়ানোর জন্য ছেলে বৌ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যও করলেন।
আমির চৌধুরীর বাবা মা এমন একটা মহানুভব কাজে ছেলেকে সহায়তা করার জন্য রেবেকা বিশ্বাসকে খুব করে ধন্যবাদ দিলেন।
আমির চৌধুরী রেবেকা বিশ্বাসের কাছে চির ঋণি হয়ে রইলো।
ডঃ রেবেকা বিশ্বাসের চৌধুরী এষ্টেটে অবস্থান করাটা নীলিমার কাছে অসহনীয় লাগলো।

-মা লাবনীকে বোধহয় যেতে হবে।
ছেলের ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলেন নীলিমা চৌধুরী। অতীতকে ভাবতে ভাবতে অন্য মনষ্ক হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
-ঠিক আছে ডাঃ লাবনীকে সব দেখিয়ে দে।
নীলিমা চৌধুরী কিছুটা অন্যমনষ্ক ভাবে বাড়ীর দিকে পা বাড়ালেন।