Heading
আপডেট: ১১ Jul ২০২৩, ১১:৩৭
অনেক বছর পর গ্রামে নিজ বাড়ীতে এসেছে আমির। এটা ওর পূর্ব পুরুষের ভিটা। বাবার চাকুরির সুবাদে ছোটবেলা ভিন শহরে এবং পরে বিদেশে পড়াশোনা করে বড় হয়ে উঠাই কালেভদ্রে যাতায়াতের মধ্যেই এ বাড়ীর সাথে ওর পরিচিতি।
তবে আমিরের বাবার ছেলেবেলা এখানে কেটেছে, বাবার অনেক স্মৃতি লুকিয়ে আছে এ বাড়ীর আনাচে কানাচে। বাবা বিভিন্ন সময়ে সে সব স্মৃতির কথা শুনিয়েছে ছেলেকে। বাবা চাকরি কালে ভিন শহরে চাকরি করে জীবন কাটিয়ে এখন সেখানেই বাড়ী বানিয়ে বসবাস করছেন।
আমিরকে ওর বাবা ছোট কাল থেকেই বোর্ডিং স্কুলে পড়িয়ে পরে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছে আমির। হাতে কয়েক মাস সময় আছে এর পর বলতে গেলে আমির বিদেশে চাকরি নিয়ে স্থায়ী ভাবে চলে যাবে।
বাবা মায়ের বয়স হওয়াতে তারা আর তেমন লম্বা সফর করে না, তাই কয়েক শত মাইল দূরে তাদের এই পিতৃপুরুষের বাড়ীতে আসা হয়ে ওঠে না তাদের।
ওদের চার পুরুষ আগেকার অনেক খানি জায়গার উপর তৈরি চারদিক বাগান ঘেরা বিশাল বসত বাড়ী এটা। পুরনো হলেও ওর বাবা দাদারা বাড়ীটাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে পরিপাটি করে রেখেছে।
ওর একমাত্র চাচা অনেক বছর আগে থেকেই প্রবাসী। তিনি মাঝে মধ্যে আসলেও তার ছেলেমেয়েরা এ দেশে কখনো আসে না। আর আমিরের বাবা দেশে থেকেও অনেক দূরে বসবাস করেন।
বাগান ঘেরা বাড়ীটা দেখাশোনার জন্য ওর দাদার আমল থেকেই একটা পরিবার স্থায়ী ভাবে এ ভিটেতে বসবাস করে। তাদের জন্য আলাদা বাড়ী তৈরি করে দিয়েছিলেন ওর দাদা। তাছাড়া ওদের যে জমিজমা আছে সেগুলো চাষাবাদ করে পরিবারটা সচ্ছলতার সাথে বসবাস করে এ ভিটেতে। উৎপাদিত ফসলের পুরোটা ওরা ভোগ করার বিনিময়ে বাড়ীটা দেখাশোনা করে রাখে।
প্রায় প্রতিদিন টেলিফোনে খোজ খবর রাখলেও প্রায় বছর দুই হল আমিরের বাবা এখানে আসেননি। তাই, আমির বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব করলে তিনি বিনা বাক্য ব্যয়ে রাজী হয়ে গেলেন।
আমির আজ সন্ধ্যায় এসে পৌঁছেছে ওদের বাড়ীতে।
গাড়ী থেকে নামতেই বাড়ীর বর্তমান কেয়ারটেকার এংলিয়ানা খিসা ওকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ঘর খুলে দিল।
ষাটের উপর বয়স হবে এংলিয়ানার, বেশ লম্বা, মেদবিহীন পাতলা শরীর, চোয়াল দুটো ভিতরে ঢুকে দুপাশের হাড় ঠেলে বেরিয়ে নাকের দুধারে দুটো গর্তের সৃষ্টি করেছে যার ভিতর দুটো চোখ জ্বলজ্বল করছে। কান দুটো শরীরের আকারে বেশ ছোট, নাকটা ভোতা।
আমিরের দাদা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে চাকরি করার সময় এংলিয়ানার পনের বিশ বচরের দাদাকে এ বাড়ীতে এনেছিলেন। তার পর থেকেই ওরা বংশ পরস্পর এ বাড়ীতেই বসবাস করে।
এংলিয়ানার কথা বার্তা এ অঞ্চলের মানুষের মতই কিন্তু তার নাক মুখ আর গায়ের উজ্জ্বল রং বলে দেয়, সে এখানকার কেউ না। ওর দুই মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে দুটো বিয়ে হয়ে স্বামী সংসার নিয়ে অন্যত্র থাকে। ছেলে, করম খিসা স্থানীয় স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে আর পড়াশোনা করেনি, এখন সেই সব জমির চাষাবাদ করে আর এংলিয়ানা এই বাড়ী আর বাগানের পরিচর্যা করে।
এংলিয়ানা তার স্ত্রীকে হারিয়েছে সে অনেক বছর হল। এখন সে তার ছেলে, ছেলের বউ আর এক পুতী আর পোতাকে নিয়ে বসবাস করে।
-আপনার বাবা কেমন আছেন? যদিও প্রায়ই টেলিফোনে কথা হয় আর আজ সকালে টেলিফোন করে আপনার আসার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কতদিন তিনাকে দেখিনা। আপনারা আমাদের কাছে দেবতুল্য।
চারদিকে উচু বারান্দা ঘেরা দোতলা বাড়ী। চারটে সিড়ি ভেঙ্গে বারান্দায় উঠে আমির সোফায় বসতে বসতে এংলিয়ানা কথাগুলো বলল।
তার কথা বলার মাঝেই এংলিয়ানার ছেলে বউ তাদের ষোল সতের বছরের মেয়ে আর দশ বারো বছরের ছেলেটাকে নিয়ে হাজির হল। বংশপরস্পর এখানে বসবাস করলেও ওরা ওদের সব ছেলে মেয়েদের নিজ উপজাতিদের মধ্যেই বিয়ে দিয়েছে। তা ওদেরকে দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়।
-আপনারা আমাদের অন্নদাতা দেবতা, আপনাদের সবার কথা স্মরণ করে নন্দিনী সকাল সন্ধ্যে পুজো দেয়।
এংলিয়ানা তার ছেলের বউকে ইঙ্গিত করে বলল।
এংলিয়ানার নতমস্তকে দাসত্বযুক্ত ভক্তিভরা কথা বার্তায় অস্বস্তি বোধ করতে লাগল আমির।
-নন্দিনী, বাবুকে জিজ্ঞেস কর কি খাবেন?
এংলিয়ানার কথায় বোঝা গেল সেটা জানার জন্যই ওর ছেলের বউ এসেছে।
-ভাত, সবজি, ছোট মাছ আর ডাল এগুলো হলেই চলবে। আমার কোন কিছুতেই অরুচি নেই। গ্রামে এসেছি আপনারা যা খান সেটাই আমাকে দিলে হবে।
-এখন গ্রাম আর আগের মত নেই, এখানে সবাই শহরের খাবারও খায়।
-তুই খুব কথা বলিস, চুপ কর মাধুরী।
মায়ের মৃদু বকুনিতে মুখ টিপে হাসতে লাগলো ওদের মেয়ে মাধুরী।
ডুবন্ত সূর্যের রক্তিম আভায় মাধুরীকে অপরুপ লাগলো আমিরের চোখে। একহারা চেহারা, গায়ের রং ফর্সা পরনে এখানকার মেয়েদের মত স্যালোয়ার কামিজ পরা। প্রথম দর্শনেই কেন জানি আমিরের মনে হল ওকে এড়িয়ে চলা যায় না।
-তুমি কি সেগুলো রান্না করতে পার?
মাধুরীর দিকে তাকিয়ে আমির হাল্কা রশিকতা করে কথাটা বলল।
-পারি, তবে মা থাকতে আমি কেন রান্না করবো?
আমিরের কথার জবাবে মাধুরীর হাসি মাখা মুখে কথা বলার ধরণ ওকে দারুন ভাবে আকর্ষণ করল।
-বেশ, তা তোমার উপর কখন থেকে রান্নার দায়িত্ব আসবে?
-আমার বিয়ে হলে। আমি রান্না করে আমার বর আর তার পরিবারকে খাওয়াবো।
-তার মানে তোমার হাতের রান্না খেতে হলে তোমাকে প্রথমে বিয়ে দিতে হবে তারপর তোমার শশুর বাড়ীতে যেয়ে সে রান্না খেতে হবে।
আমিরের কথায় মাধুরী একটু মিষ্টি করে হাসল। কোন জবাব দিল না।
-মাধুরী, তুই যা, বাবুর বিছানা পত্র ঠিকঠাক করে দে তারপর কথা বল। আমি যায় রান্না চাপায়।
যাওয়ার সময় আমিরের দিকে তাকিয়ে বলল –ওর সাথে কথায় পারবে না বাবা।
নন্দিনী যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। ছেলেটাও মায়ের আঁচল ধরে চলে গেল।
ততোক্ষণে অন্ধকার জাকিয়ে বসতে শুরু করেছে। মাধুরী উঠে ঘরের ভিতর আর বারান্দার লাইটগুলো সুইচ টিপে জ্বেলে দিল। এংলিয়ানা বাড়ীর পিছন আর বাগানের লাইটগুলো জ্বালিয়ে দিয়ে আসল।
-আপনারা একটু বসুন, আমরা ফ্রেস হয়ে আসছি।
এংলিয়ানা আর মাধুরীকে কথাটা বলে আমির ঘরের ভিতর চলে গেল।
সোফাতে ওরা বসে দুএকটা কথা বলতে বলতে আমির বেরিয়ে এসে বসল পাশের সোফাতে।
-গত দুদিন ধরে মাধুরী আর ওর মা মিলে ঘর দোর পরিষ্কার করছে। অনেক দিন পর খোলা হল, সেভাবে বোধহয় পরিষ্কার হয়নি।
-না না, সব ঠিক আছে, ও নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।
এংলিয়ানা কথা বলার সময় মাধুরী এক দৃষ্টিতে আমিরকে দেখতে লাগল। একটু অপ্রস্তুত হল আমির।
-রাতে আপনার আবার ভয় করবে নাত? কত দিন পর এ ঘরে মানুষ থাকবে।
-কেন, ঘরে মানুষ না থাকলে কারা থাকে?
মাধুরীর দুষ্টুমি ভরা কথার জবাবে কথাটা বলে আমির তাকাল মাধুরীর চোখে।
শোয়ার ঘরের সামনে গ্রিল ঘেরা বসার জায়গা। একটা কম পাওয়ারের বাল্ব জ্বলছে। সে আলোতে দেখা যাওয়া মাধুরীকে একদম অন্য রকম লাগল আমিরের চোখে। মাধুরীকে কেন জানি অপ্সরীর মত লাগল।
-এখন প্রতি রাতে বৃষ্টি হয়, তখন কারেন্টও চলে যায়।
-তাতে আমার কোন সমস্যা হবে না। আর রাতে বৃষ্টি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখি না।
-দেখবেন বৃষ্টি আসবেই।
কথাটা বলে মাধুরী খিল খিল করে হেসে উঠল। সে শব্দ আমিরের কানে এক অভূতপূর্ব সুর মূর্ছনার সৃষ্টি করল।
ওরা কথা বলতে বলতে সত্যি সত্যি বৃষ্টি শুরু হল।
-বললাম না বৃষ্টি হবে, এখন বিশ্বাস হল তো?
মাধুরী খিল খিল করে হাসতে লাগল।
মেয়েটার মধ্যে কোন সম্মোহনী শক্তি আছে নাকি! না হলে এই সল্প পরিচিত মেয়েটির জন্য আমির এত আকর্ষণ অনুভব করছে কেন?
-আমি চার্জার লাইট দিয়ে যাব, রাতে কারেন্ট গেলে যাতে আপনার আবার ভয় না লাগে।
মাধুরী হালকা ভাবে কথা বলেই চলেছে আর আমির ওর চোখে তাকিয়ে।
-আমার কলেজের ক্লাস এখনো শুরু হয়নি তাই হাতে সময় আছে, কাল থেকে আপনাকে সব বাগান ঘুরে ঘুরে দেখাবো। কতদিন থাকবেন জানি না তবে কয়েক মাসেও সব দেখে শেষ করতে পারবেন না, এ বলে দিলাম।
দেশে বিদেশে কত মেয়েকে দেখছে, কত মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ হয়ে মিশেছে আমির কিন্তু এই প্রত্যন্ত গ্রামে এই অল্প শিক্ষিত উপজাতীয় এক মেয়ের মধ্যে কি টান আছে যে সে টানের কাছে কিছুতেই নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছে না?
ভাবতে লাগল আমির।
এংলিয়ানা নীরবে বসে কেবল মাথা নাড়িয়ে মাধুরীর সব কথায় সাই দিতে লাগলো।
কি একটা ভেবে আমির মনে মনে প্রার্থনা করল যে, এংলিয়ানা যেন মাধুরীকে একা রেখে চলে না যায়।
-কি, আপনি কোন কথা বলছেন না যে? ভয় পেয়ে গেলেন নাকি।
এই সল্প পরিচিত গ্রামের মেয়েটি দেশ বিদেশে শিক্ষা লাভ করা আমিরকে নির্দ্বিধায় নানা হালকা কথা বলে চলেছে। কিন্তু এ কি হল আমিরের? কথা বলতে তার গলা কাপা কাপা লাগছে কেন?
এরই মধ্যে কারেন্ট চলে গিয়ে সব অন্ধকারে নিমজ্জিত হল।
-বললাম না কারেন্ট চলে যাবে। মাধুরী আবার একই ভাবে খিল খিল করে হেসে উঠল।
এংলিয়ানা ব্যস্ত হয়ে উঠে দাড়াল।
-তুই বাবুর সাথে বস, আমি চট করে যেয়ে চার্জারটা নিয়ে আসি।
এংলিয়ানা চলে গেল।
অন্ধকারে নিমজ্জিত বাড়িটার বারান্দায় পাশাপাশি সোফায় বসে কেবল আমির আর মাধুরী।
ছাদের ধার ঘেসে বৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ার একটানা শব্দ। কিছুই দেখা যাচ্ছে না এমন কি নিজেকেউ না। এই প্রত্যন্ত গ্রামে বসে সদ্য পরিচিত একটি অল্প শিক্ষিত উপজাতি মেয়ের সামনে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত দেশ বিদেশের সব পরিবেশে মিশে অভ্যস্ত আমিরের ভিতর এই স্নায়বিক দুর্বলাবস্থা কেন ভর করছে সেটা সত্যিই ওর অজানা।
নিজের অজান্তেই একটা ঢোক গিলে নিল আমির।
-আপনার ভয় করছে না তো?
মাধুরীর কন্ঠ। চমকে উঠল আমির। মাধুরীর গলার স্বরটা কিছুটা অস্বাভাবিক লাগল ওর কাছে।
-মাধুরী কি ভয় পেয়েছে, তাই কি কন্ঠটা কাপা কাপা মনে হচ্ছে?
অস্বাভাবিকতা কি মাধুরীর কণ্ঠস্বরে না আমিরের শোনার ভিতর? সে ব্যাপারে আমির সন্ধিহান হয়ে রইল।
মাধুরীর প্রশ্নে আমির কোন কথা বলল না, কথা বলার শক্তি যেন ও হারিয়ে ফেলল।
নিকষ কালো অন্ধকারে বেশ কিছুক্ষণ দুজনই চুপ করে বসে রইল। ওদের কারোরি মুখাবয়ব আর শারীরিক অনুভূতি কেউ দেখতে পেল না।
এংলিয়ানা আসল, চার্জার লাইট হাতে।
সে বারান্দায় উঠতেই মাধুরী কিছু না বলে নিঃশব্দে সিড়ি ভেঙ্গে নেমে গেল। অন্ধকারের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হাতে ধরা ছোট্ট একটা টর্চ জ্বালতে জ্বালতে মাধুরী বাড়ির দিকে পা বাড়াল।
মানুষ যে বেচে আছে তার বড় প্রমান, সে বর্তমানকে অনুভব করে সজাগ থাকে। বর্তমানের স্থায়িত্ব ক্ষনিক আর এই ক্ষনিকের একটা অনুভুতি অনুভব মানুষ সারা জীবন ধরে গড়া যে সৌধ তার ভিত এক মুহূর্তেই নড়বড়ে করে দিতে পারে।
রাতে চোখ দুটো একদম এক করতে পারল না আমির।
–মাধুরীর সাথে কথা বলার সব জোর সে হারিয়ে ফেলেছিল, আর অন্ধকারে মাধুরীর পাশে বসে সে সময়টুকু অনেক লম্বা মনে হয়েছিল ওর। মাধুরীর কাছে টর্চ লাইট থাকা সত্ত্বেও অন্ধকারে দুজনে বসে থাকা অবস্থাই সে লাইটটা কেন জ্বালালো না!
সারা রাত ধরে জেগে সে সব ভেবে কোন কুল কিনারা করতে পারল না আমির।
দেবতাকে ফুল দিয়ে তুষ্ট করাই পূজারীর কাজ। কিন্তু দেবতার সামনে সে অর্ঘ্য ঢেলে দিতে গিয়ে পূজারী যদি দেবতাকে জাগ্রত ভেবে তার সান্নিধ্য কামনায় একটু বেসামাল হয়ে পড়ে সেটা পূজারীর জন্য পাপের কিছু না বরং সবার দৃষ্টিতে সেটা পুণ্য।
অন্যদিকে, পাথরের প্রকোষ্ঠে থাকে বলেই তাকে মর্ত্যধামের দেবতা বলে সবাই মেনে নেয়। কিন্তু পূজারীর প্রেমে আপ্লুত হয়ে সে দেবতা যদি সত্যি সত্যি জাগ্রত হয়ে ওঠে তাহলে এটা নিশ্চিত যে, ঐহিক জগতে দেবতা তার আসন হারাবে।
রাতটা কোন রকমে কাটিয়ে পরদিন সকালেই ওদেরকে কোন সময় না দিয়েই বাড়ীতে হটাৎ করে একটা কাজ এসেছে বলে এংলিয়ানার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে আসলো আমির।