জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'মেনে নিয়ে মানিয়ে নেয়া'।'

আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০২৩, ১৬:৩৪

মেনে নিয়ে মানিয়ে নেয়া

 

বিধাতা বিজ্ঞানময়, রাখে খবর সব সময়
তাঁর সব সৃষ্টির নিশ্চয়।
তাঁর কাছে সব সমান, এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে,
সবি তাঁর বিশেষ উপহার এ বিশ্ব নীড়ে।

হোক বেশী কম বা না শীত না গরম
হিমশীতল বা উষ্ণাঁচল।
বিছিয়েছেন নিজ করে সবার তরে,
তাঁর মায়ার আঁচল।

মেরুর জীবন শৈত্যে বিকাশ,
মরুর তাপে হয় তা নিকাশ।
তাপ-মিতাশী জীবন হলে,
না মরে কেবল বাচতে পারে,
হিম বা উষ্ণাঁচলে।

শামুক শৈবলিনীর গর্ভজাত, শঙ্খ সৈন্ধব স্বজাত।
মাতৃসম জল দুয়ের মূল ঠিকানা
মিঠা কিম্বা লোনা।

মায়ের আঁচল ছাড়লে পরে,
থাকে তারা নিজ নিজ খোলস ঘরে।
কেউ হয়ে ঘরের শোভাকর,
আর কেউ কাঁচামাল কারখানার।

তাপ মিতাশী কৃষ্ণচূড়া,
হিম শীতলে বাচতে পারে ধুক ধুকিয়ে।
এ বাচা কেমন! লোনা জলের শঙ্খ যেমন
মিঠা জলে মরে বাচে খোলস হয়ে।


ভাষা বলে কিছু নেই স্রষ্টার,
সে অর্থে তিনি প্রকৃতই নিরক্ষর।
সৃষ্টিই সাক্ষর বিধাতার, আর অনুভব ভাষা তার।
তাঁকে বুঝবে তারা, সৃষ্টিকে পড়বে যারা।

সবাইকে বুঝতে হবে, বিধাতার এই সৃষ্টি ভবে
তিনি এক মহা চিত্রকর।
যা বলার বলেছেন তিনি তাঁর সৃষ্টির ভিতর।

তাঁর সৃষ্টি এ ভবে, দেখা যায় চক্ষু খুললে তবে
তাঁকে দেখা যাবে চক্ষু বুজলে তবে, শুধু অনুভবে।

যা গেছে ঘটে, আর যা ঘটার তাও ঘটবে বটে
আর যা ঘটছে এখন, সবই তাঁর ইচ্ছে মতন।
তাঁর এ ধরায় তিনি ছাড়া সবাই অসহায়!
সবার কেবল মেনে নিয়ে মানিয়ে নিতে হয়।