Heading
আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪১
বিধাতার বারি বৃষ্টি, তাঁরই অপূর্ব এক সৃষ্টি
থাকে অসীম অনন্ত অঁচল ভরে।
আকাশ থেকে এসে, বারিধারা হয়ে শেষে,
আনন্দ শোকে, ধরার বুকে পড়ে ঝরে।
স্রষ্টা আসে সৃষ্টির কোলে, তৃষ্ণা মিটাবে বলে
ধরার আধার- সবই তাঁর, জলাশয় জলনিধি
থাকবে কোন ঘরে, কুয়োতে না সাগরে,
তা ঠিক করে কেবল বিধি।
কুয়ো শুকিয়ে গেলে বা সমুদ্র পৃষ্ট উঁচু হলে
তাতে জলের কিছু আসে না যায়।
সেত জল কেবলি, আজ্ঞাবাহী অংশ খালি, বিধাতা নয়।
জলা, নাতি বা জলাধিপতি, তাকিয়ে থাকে আকাশ পানে,
খোদার ডাকে মগ্ন থাকে, গভীর ধ্যানে।
ডাক আসলে যাবে বলে, হবে একাকার স্রষ্টার কোলে।
জল সম আত্মা, সব মাটির ঘরে ছোট্ট বিধাতা
শুধু আসে আর যায়, নেই তার কোন ক্ষয়।
দেহ তাঁর ক্ষনেকের আধার,
আসে সৃষ্টির সাথে মিশে হতে একাকার।
স্বর্গ পায় মাটির দেহ!
অধীর হয়ে, ধুক ধুকিয়ে সারাক্ষণ যাবার তরে করে যাচন
বোঝে না কেহ, যাওয়া ছাড়া নেই তাঁর অন্য মোহ।
কুয়োর জল মিষ্টি শীতল, সমুদ্রের জল গভীর অতল
কুয়ো বা সমুদ্র, হোক তা বৃহৎ বা ক্ষুদ্র
সব ঘর ছোট্ট বিধাতার, তাই তাঁর আসে যায় না কিছু।
ডাক এলে, সে ঘর ছেড়ে যাবে চলে
তাকাবে না সে একটুও পিছু।
এ ভবধামে, সবই চলে তাঁর নিয়মে, তা সবাই জানি
ভবের লীলা ভবের খেলা, খেলান তিনি খেলি আমি।
ভবকারায় বন্দি সবাই, কেন এলাম জানিনা তা
যাব কোথা সেসব কথা, সবই মোদের অজ্ঞতা।