Heading
আপডেট: ১১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:১৩
স্বর্গের ঘড়ি, বলে কথা ধুক ধুক করি,
বুকে বসে বলিছে ভালবেসে, সারাক্ষন ধরি-
কত গেল কত এল, আর নয় অনেক হল
হয়েছে সময়, পাও কেন ভয়, চল ফিরে চল।
ক্ষনেক জ্বলে আলো, আবার পলকেই সব কালো
মুদে গেলে চক্ষু দুখানি, খোলা আর সম্ভব না জানি।
সে কথা বুঝি আমি, আর জান তুমি, হে অন্তর্যামী
বেলা ডুবে গেল, এই বুঝি সব শেষ হয়ে এল।
এপারের যা কিছু, জীব জড় মানুষ পশু, সব পরবাস
সবই ধাঁধা জীবন চক্রে বাধা, সময়ের কৃতদাস।
ভয়ে ভরা মন করে সারাক্ষণ, দুরু দুরু
কখন না জানি সবে শেষ হবে, যখন হয়েছে শুরু।
কর না যতই যতন, সাধ্য মতন যার যার
দিবা শেষে এসে আঁধার, করে দেবে সব নিরাকার।
জীবন চলার পথে, কত কি দিয়েছ আর নিয়েছ সাথে
কত দেনা কত পাওনা, এত সব হিসাব রাখা যায়না।
দেনা-পাওনা, এ জগতে মেটে না কোনমতে।
ঘড়ি বলে, ছাড়িলে এ গৃহসাজ, মিটিবে সে খেরাজ
বলি শুধু কাল, হইলে সকাল, বাহিব না আর এ হাল।
স্বর্গীয় ঘড়ি, দেবে বলে পাড়ি, করে খুব বাড়াবাড়ি,
বলে, থাক সব কাজ, চল সব ফেলে, এখনই আজ।
আকুতি জানায়, বলি, দাও একটু সময়, এখনি দিওনা পাড়ি।
শোনে না কারো কথা, দেয় না মুদিতে চোখের পাতা
থেমে যায় ঘড়ি, চলে যায় খাঁচা ছাড়ি।
খোলা থাকে চোখ, মাঝপথে থেমে যায় দোলক সেথা।