জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'সমাজপতি ও বজ্রদন্ড-১'।

আপডেট: ১৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:২৮

সমাজপতি ও বজ্রদণ্ড-১

 

আনত মস্তকে দণ্ডায়মান, যেন মূর্ত শয়তান,
সাক্ষাৎ আসামীর অবতার!
উদভ্রান্ত দৃষ্টি, নিকৃষ্ট সৃষ্টি বিধাতার,
চোখ মুখ নির্ঘুম নিশাচর।

আছাঁটা শ্মশ্রু কেশ, মলিন বেশ, পুরো স্মৃতি বিসৃত,
অঘটনের কাণ্ডারি শত।
খাঁটি শয়তানের অবয়, দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায়।

যার যার এতকাল, শয়তান দেখার হয়নি কপাল
কেবল শুনেছে লোক মুখে,
আজ স্বার্থক কর নিজেকে, দেখে নিজ চোখে।

চেয়ে দেখ আপাদমস্তক, ভিতর বাহির যাই হোক,
পুরোটা পাপ, যেন বিষধর সাপ,
ভরা পঙ্কিলতায়, আর অন্য কিছু নয়।

এদের নির্মমতায়, আজ সমাজ এত অসহায়।
বোবা বধির,দাঁড়িয়ে স্থির বিচারের কাঠগড়ায়।

এরা সমাজের ব্যাধি, দাগী অপরাধী
পা’চাটা পরাকাষ্ঠা সঠিক।
মিটাতে নেতার খোয়াব, করেছে সব ভেবেছে যা ঠিক।

বিত্তশালী বলবান, যারা আজন্ম ভাগ্যবান,
লোকে বলে, সে সব নেতারা মিলে
আসামী আর সাক্ষীর বংশ, করেছে মূক স্মৃতিভ্রংশ,
ছলে বলে কলে কৌশলে।

কত কি বলিছে কত জনে,
কে জানে কি আছে কার মনে?
কানা ঘুষা শুনে, হয়না বিচার তা সবাই জানে।

বললেই কি হয়, সাক্ষী প্রমান চাই,
আইনের কাছে, বিচারের আছে দায়।

সাক্ষীরা সব মূক, বলবে না কিছু, ফেটে গেলেও বুক
চোখ থাকতেও কানা, কান থাকতেও শোনেনা।
লোকে বলে আড়ালে পাছে, তাদের আছে সব জানা,
তবু বলবে না, আছে গড ফাদারের মানা।

দাড়িয়ে এক বজ্রদন্ড, পুরো ভন্ড,
গড ফাদারের রক্ষা বর্ম, সেটাই ছিল ওর ধর্ম-কর্ম।
সমাজের সৃষ্টিতে, আর আজ আইনের দৃষ্টিতে,
ও দাগী আসামি, তা সবাই আমরা জানি।

যা কিছু হোক, কালো কাপড়ে বাধা মূর্তির চোখ,
এত সব দেখেনা, বুঝলেও বুঝতে মানা।
ও খুনি অপরাধী, ওর সব কাজে,
তাই ওর নেই কোন ঠাই, মুক্ত সমাজে।