জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'প্রকৃতি ও মানুষ'।

আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২

প্রকৃতি ও মানুষ

 

প্রকৃতি, বিধাতার দান, বিধাতার জ্ঞান,

দিয়েছে পৃথিবী ভরে, সব উজাড় করে।       

চাতুরী ও ছলে, জ্ঞান বিজ্ঞান ও ক্ষমতা বলে

প্রতিক্ষণ প্রতিপদে, মানুষ তা ধ্বংস করে, নির্বিচারে!

      

সেকি নয় সীমা লঙ্ঘন, বর্বরতা!  

নয়কো তা নির্মম নির্দয় অমানবিকতা?           

 

বিধাতার জমি, বিধাতার জল,

শস্য শ্যামল, মরু পাহাড় জঙ্গল।

সবই তাঁর, আমরা কেবল ভোগীদার।   

 

তিনি রাজা, আমরা প্রজা কেবলি

তাঁর সৃষ্টি তিনি দিয়েছন প্রজাবিলি।  

 

কিন্তু মানুষ, যেন পুরো বেহুশ

কিঙ্কর অজ্ঞ অতি, ভাবিছে নিজেকে নৃপতি!

করিতে অগ্রগতি, করিছে নিজের ক্ষতি।  

  

করিছে প্রকৃতি নিধন, যা চায় মন সে মত      

উন্নয়নের বাহানা, বানাচ্ছে কারখানা, অট্টালিকা   

চলেছে বানিয়ে কত, হাইওয়ে রানওয়ে শত;

উন্নয়নের শক্তি চালিকা।         

        

এতসব যেন কিছু নয়, মানুষের বেলায়  

নয় কোন পাপ, যেন সাত খুন মাপ, উন্নয়নের অছিলায়।            

 

ধুয়ো ধুলো আবরিত পাতা, পারে না সরাতে তা

 শিশুসম অসহায় গাছ।     

যন্ত্র দানবের বর্জ্য মলে, দুষিত জলে

করে হাঁসফাঁস, রোগগ্রস্থ মাছ।            

 

আধামরা কচি ডাল পাতারা, বাতাসে ছটফটায়,  

বর্জ্য ভরা জলে মাছগুলো মিলে শুধু খাবি খায়।         

মরিছে সব ধুকে ধুকে, কত ব্যথা নিয়ে বুকে, হায়!       

 

অসহায় প্রকৃতি! করে হা-হুতাশ, না নিতে পেরে নিঃশ্বাস   

তারা সকলি, উন্নয়নের বলি, গ্যাস চেম্বারে ভরা কৃতদাস!