জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'দারিদ্রতা ভালবাসার অলঙ্কার'।

আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:১২

দারিদ্রতা ভালবাসার অলঙ্কার

 

মানুষ প্রতিনিধি তাঁর, মহাস্রষ্টা বিধাতার
এই সীমাহীন বিশ্ব ব্রমান্ড অধীন যার।
বিধাতা সর্ব-দাতা, সহ-স্রষ্টা বেশে এ ধরাতে এসে
পূর্ণ করে যত, সাধ মন মত।

সৃষ্টি যত সহস্র শত, হোক তা যত ক্ষুদ্র, যত কদাকার
যা কিছু দেখ এ ধরার, সব তাঁর, অংশ বিধাতার।

আকারে অমিল, সব মরণশীল এ ধরায়
আকার ছাড়লেই সবাই হয়, অসীম অবিনশ্বর অক্ষয়।

বিধাতা নিয়েছে ভার, সব সৃষ্টি তাঁর
কারো প্রতি কোন, করে না তিনি জেন, অন্যায় অবিচার।

সুখ দুঃখ যাই, দেখ এ ধরায়,
সব পরিমাণ সমান, কাটায় কাটায়।
অসমতা নেই এক চুল, যা দেখ সব তা চোখের ভুল।

সবার জন্য নানা, পরিকল্পনা তাঁর আছে
সৃষ্টি বড় ছোট হয়, কিন্তু কিছুই নগন্য নয় তাঁর কাছে।
বিশ্ব ভুবন, সব তাঁরই সৃজন, জড় ও জীবন সহস্র শত
মানুষ জীব জড় যত, সব এসেছে তারই ইচ্ছা মত।

বিধাতার এ ধরা প্রাচুর্যে ভরা, হয়না কিছুই নি:শেষ।
অভাব বলে কিছু নাই, সবই বানানো কেবল ভাবনায়
ভাবনার অভাব হয় না শেষ, ধনী বা দরিদ্র নির্বিশেষ।

এ পৃথিবীতে যত বিরোধ, দ্বন্দ্ব বিবাদ যত হানাহানি
জন্ম তার অভাব বোধে সবার, সম্পদ নিয়ে টানাটানি।

অভাব অনটন, কোন জীবন নেই না কেড়ে
অভাবের ফলে মানুষ যায় না চলে, এ পৃথিবী ছেড়ে।
জন্ম মৃত্যু পরজীবন, সেসব অতল গভীর চিন্তার ভুবন।

দেখ ভেবে সবাই, একথা কি সত্য নয়?
ধনী দরীদ্র উভয়, মেধাবী, বিজয়ী আর শত বর্ষী হয়।
বলবে সবে, বাচা কি এ ভবে, শুধু বছর গুনে হয়?
প্রতিজনে শরীরে ও মনে, ভালবাসা নিয়ে বাচার মত বাচতে চাই।

ভালবাসা সেত মনিহার, দরিদ্রের অলঙ্কার।
দিবা শেষে ক্ষুধাভরা দেহে এসে, জোটে সবজি ডাল রুটি
ভাগাভাগি করে, কারো পেট না ভরে
করে তর্ক, রচে ছোট্ট স্বর্গ, সবে হেসে হয় কুটি কুটি।

ক্লান্ত দেহ, নেই কোন মোহ, ঘুমের কোলে লুটিয়ে পড়ে
চোখের পাতা, ঘুম ছাড়া নেই কোন কথা, একটুও না নড়ে।
স্বয়ং বিধাতা দয়াল, বিছায় ঘুমের আঁচল
প্রকৃতির সন্তান, প্রকৃতির দান, প্রকৃতির কোল।