জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'সদা মনে ভয়'।

আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ১৪:১০

সদা মনে ভয়

সদা মনে ভয়, কখন কি যে হয়!
এ জীবনে, কখন না জানি কি হারায়!
না জানি কখন কি ছেড়ে চলে যায়!

হারায় হারায় করে, না হারালে পরে, হারানোর আগে
হারানোর ব্যাথা পায় সবাই, ঘুমিয়ে ও জেগে।

যেখানে হারানোর আছে ভয়,
তা ভালবাসা নয়, মায়া তারে কয়।

ভালবাসা যদি অকৃত্রিম হয়,
তবে তা লীন হয়ে থাকে হৃদয়ে, শরীরে নয়,
তা কখনো না চায়, কোন বিনিময়।
হৃদয়ে গ্রথিত কিছু কি হৃত হয়!
সব তাই অমূলক ভয়।

সবই বুঝি, তবু সবই সাজি, যখন যা প্রয়োজন,
কারণ, মানে না অবুঝ মন।
সাধ না মেটে, কেবলই ছোটে
মরিচিকার পিছে, সারাক্ষণ মিছে মিছে।

জেনে নাও সবে, যা কিছু পাবে এ ভবে, যে যত কষ্ট করে
সব তা যাবে চলে, ঠিক সময় হলে, দিয়ে তত দুঃখ তারে।
বিধাতার এ ভবে, যা কিছু পাবে, অধিকারের জোরে
সব কিছু তার, থাকবে তোমার, সারা জীবন ভরে।

বিধাতা এনেছেন সবে, তাঁর এ ভবে,
তাঁরই জন্যে, তাঁরই প্রয়োজনে।

আকাশ, বাতাস আর সূর্য কিরণ, সবই বিধাতার দান।
পেতে সে দান তাঁর, নেই দরকার কোন প্রচেষ্টার।
সে সব তোমার, জন্মের অধিকার।
সব তা পাবে, যতদিন তিনি রাখবে তোমাকে এ ভবে।

মিটাতে নিজ প্রয়োজন, মানুষ বানায় যন্ত্র যান,
মানুষই যোগায় যন্ত্রের শক্তি আর বাসস্থান।

এ সব বানায় মানুষ, নিজের দরকার বলে।
কাজ শেষ হলে, ছুড়ে দেয় তা ফেলে
থাকে না কোন দাম তার।
মৃত শরীর কেবল জঞ্জাল সার।

কোন সৃষ্টিই আসেনি এ ধরায়, নিজ ইচ্ছায়,
যাওয়ার ব্যাপারেও তাই, কারো কিছুই করার নাই।
যিনি স্রষ্টা তিনি জানে, সৃষ্টি যত সবই তার প্রয়োজনে,
তাই, সব তাঁরই দায়।