জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'অবুঝ মন'।

আপডেট: ৩০ মে ২০২৪, ১৩:২৫

অবুঝ মন

মানুষের মন, থাকে ভূত আর ভবিষ্যতে সারাক্ষণ
দেখে শুধু আগে পিছে, দেখতে অনীহা পায়ের নিচে।
ত্যাজি আগামী আর গত’র ধ্যান, পাত নিজ বুকে কান,
শোন শ্রেষ্ঠ সুর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গান।

আত্মা সব সময়ে, বলিছে ধুকধুকিয়েঃ
ভ্রমে ভরা মন, ছুটছো যার পিছে সারাক্ষণ
সব তা মরিচিকা, সব ধোঁকা, অন্য কিছু না।

নানা ছল চাতুরে, রাখে মোরে আড়াল করে।
মনকে আত্মা ভেবে, ভ্রমের জালে আটকা সবে
ভুল করে, পুজিতে আমারে পুজিছো তারে।

সব প্রহেলিকা, সব ফাঁকা সব মিছে,
সব তুচ্ছ যা কিছু আগে পিছে।
আত্মা বলে বারে বারে-
যেতে দাও মোরে, আপন নিবাসে ওই ওপারে।

অভুক্তকে খেতে দিলে, পেট তার ভরে গেলে,
হাসি মুখে সে যায় চলে।
তাতে কমে না দাতার মাল,
অভুক্তর পেটও ভরা থাকে না চিরকাল।

ভরা পেটে সে উঠে দাঁড়ায়, তৃপ্ত দেহে পা বাড়ায়
যাওয়ার সময়, তৃপ্ত নয়নে ফিরে তাকায়।
হাসিতে ভরা সে বদন, স্বর্গীয় জ্যোতির স্ফুরণ।

বোঝে না কেন যে মন, থাকে না কেন স্মরণ?
সেতো শুধু হাসি নয়।
সে তৃপ্ত বদন যা কিছু কয়,
সবই তার আত্মার আহার এ ধরায়।

দেখে সে হাসি ভরা মুখ, একবার পাবে যে স্বর্গীয় সুখ
সে কেবল দিয়েই শান্তি পাবে, যতদিন রবে এ ভবে।

যত বেশী নেবে, আরো যত পাবে,
সবই শুধু বাড়াবে বোঝা এ ভবে।
হায়! অভাগার, সব তার ছেড়ে যেতে হবে।
বোঝা যত ভার, ছেড়ে যেতে ততো দুঃখ হবে তার।