জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'মন আর আত্মার খাবার'।

আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৪:২৫

মন আর আত্মার আহার

 

শোন তবে মন, যা তুমি ভাব অমুল্য রতন,
যা কিছু ভাব সোনার মতন।
সব ভুল সব ভ্রম, সব তা মরিচিকা সম।

কত মমতায়, গড়েছ এ ধরায় যে যা যত,
মাটি হবে, সব এ ভবে, তোমার দেহের মত।

জীবন চলা এ ধরায়,
মরিচিকার পিছনে ছোটা ছাড়া আর কিছু নয়।
যা কিছু তুমি নেবে নিজের ভেবে
সব পড়ে রবে মাটির এ ভবে
হোক তা ন্যায় বা অন্যায়।
খাটি বা অখাটি, একদিন সব হয়ে যাবে মাটি।

তবে যা কিছু দেবে নিঃস্বার্থ ভাবে,
সবটুকু তার, আত্মার আহার।

অমরাত্মা, ছোট্ট বিধাতা,
বাস করে তোমার মাটির ঘরে।
চলে যাবে শেষে, ঊর্ধ্বাকাশে
তাঁর আদি নিবাসে।

স্বর্গীয় আত্মা এসে, ছিল তোমার মাটির আবাসে
হয়ে দুদিনের অতিথি।
ধুকধুকিয়ে সারাদিন সারাক্ষন, বুকের মাঝে বসে
করেছে সে আকুতি;
‘কবে যাবে ফিরে তাঁর নিজ ঘরে’।

না বুঝে সে কথা,
কেবলই টানাটানি করেছো তাঁকে অযথা।

ভেবে দেখ মন, মিছে এ জীবন
কেবলি কাটানো সময়! এসবের কি অর্থ হয়!
ভাব যা আছে সব তা মিছে, একদিন হবে সব সাঙ্গ,
হবে জীবনের সব মোহ ভঙ্গ।

মেরু থেকে মেরু, পাহাড় সমুদ্র মরু কিম্বা তরু
করেছি কত মাতামাতি, ছুটোছুটি সারা দিবারাতি।
করেছি ভুল সারা জীবন, আত্মাকে ভেবে মন!

বুঝিনি জীবনে, ‘মন ভরে ভোগে’ কারণে অকারণে
যত দাও তাকে স্বর্গ মর্ত,
সময়ের সাথে হয় সে অতৃপ্ত।

আর ‘ত্যাগ আত্মার আহার’,
দানে থাকে সে প্রশান্ত।
এ সব কালজয়ী অনুভব, যা স্থায়ী অনন্ত।