Heading
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৪
সব মানুষের জীবনে এমন এমন মুহূর্ত আসে যখন মনে হয় জীবন বোধহয় থেমে গেল।
প্রকৃত অর্থে জীবন থেমে যাওয়া মানে তো মৃত্যু। তবে এ থেমে যাওয়ার অর্থ, যে রাস্তা ধরে কেউ জীবনটা এগিয়ে নিতে চায় সে রাস্তাটা কানা গলিতে ঠেকে যাওয়া।
মাহিমের জীবনটাও এমন একটা কানা গলিতে এসে ঠেকল বলে ওর মনে হল, যখন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারনে সাত দিনের নোটিশে হটাৎ করে ওর মাসিক বেতন অর্ধেক হয়ে গেল।
ভাল চাকরী মোটা বেতন সাথে অন্যান্য সুবিধাদি। গত প্রায় পনেরো বছর ধরে চাকরীর পদবী আর সুবিধাদি ওকে আর ওর পরিবারকে সমাজের উচু স্তরে আসীন করেছে। বাচ্চা দুটো নামী দামী স্কুলে পড়ে। ওদেরকে স্কুলে আনা নেয়া করার জন্য ড্রাইভার সহ আলাদা গাড়ী। বাড়ীতে সব সাব্জেক্টের জন্য আলাদা আলাদা টিচার ইত্যাদি সহ বড় একটা মাসিক বাজেটে সংসারটা চলছিল।
যুদ্ধ বিগ্রহ সাথে বৈশ্বিক ভাইরাস জনিত মহামারীর কারণে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে অনেক কোম্পানির মত মাহিমের কোম্পানিও অতিরিক্ত জনবল ছাটাই, বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো আর মাসিক বেতন অর্ধেক করার মত বিভিন্ন ভাবে কৃচ্ছতা সাধনের প্রক্রিয়াই মহিমের ডিপার্টমেন্টের কর্মচারী কর্মকর্তারা দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হল।
দ্রব্য সামগ্রীর দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার ফলে নির্মাণ কাজ বলতে গেলে বন্দই হয়ে গেল। আর তাই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে হাতে গোনা কয়েজনকে অর্ধেক বেতনে রেখে বাকি সবাইকে ছাটাই করা হল।
মাহিমের জীবনে এটা ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাত হওয়ার মত ঘটনা।
সকালে অফিসে এসে মেল খুলেই পত্রটা পেয়েছে মাহিম।
কি করবে এখন সে! আর কি করেই বা সংবাদটা ওর স্ত্রীকে জানাবে! এ সবের কিছুই ভেবে কুল করতে না পেরে ভিতরে ভিতরে একদম মুছড়ে পড়ল মাহিম। বিশ তলা বিল্ডিঙের পুরো একটা ফ্লোর জুড়ে তার ডিপার্টমেন্ট, সব মিলে ত্রিশ জন সদস্য। অন্যান্য দিন এ সময় কাজের আনাগোনায় অফিস কর্ম চঞ্চল থাকে। কিন্তু আজ যেন মৃত পুরী।
মাহিম নিজের অফিসে বসে একদম গালে হাত দিয়ে চিন্তা করতে বসলো।
মাহিমের অফিসটা দোতলায়। কোম্পানির মালিক চারদিক গাছপালায় ভরা বাগানের মাঝখানে এই বিল্ডিংটা বানিয়েছে। মাহিমের জানালার ধারেই একটা আমের বাগান। বৈশাখ মাস পড়তে কয়েক দিন বাকি। গত রাতে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে, সকাল থেকেই আকাশটা মেঘে ঢাকা। কোথাও তার ছিড়ে বৈদ্যুতিক লাইনটাও বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
-স্যার, পর্দাটা উঠিয়ে দিয়ে জানালা খুলে দিই, বাইরের বাতাসটা বেশ ঠান্ডা ভাল লাগবে।
পিয়নের কথার কোন উত্তর না দেয়াতে মৌনতাকে অনাপত্তি ধরে নিয়ে পিয়ন নিজ থেকেই পর্দাটা সরিয়ে জানালা খুলে দিয়ে বেরিয়ে গেল।
মেরু চন্দ্র শীল ওর নাম। মাঝ বয়সী, এখানে প্রায় দশ বছরের উপর চাকরী করে। হটাৎ করে মাহিমের স্মরণ হল মেরু চন্দ্র শীলওতো অর্ধেক বেতনের আওতায় পড়েছে, কিন্তু ওকে অত স্বাভাবিক কেন মনে হল? ব্যপারটা ও জানে না, না কি?
-স্যার, অনুমতি দিলে আমি আজ কয়েক ঘন্টা আগেই বাসায় ফিরতে চায়।
মেরু চন্দ্রের কথায় মাহিম ওকে ভাল করে দেখার জন্য ওর দিকে তাকাল।
-কেন, কোন বিশেষ কাজ আছে কি?
-না স্যার, তেমন কিছু না। মাস শেষ হতে এখনো এক সপ্তাহ বাকি আছে, বাড়ীর মালিককে আজই বাড়ী ছাড়ার নোটিশ না দিলে মানতে চাবে না, পরের মাসের ভাড়া দাবী করে বসবে।
-বাসা ছেড়ে দেবে কেন?
- কি যে বলেন স্যার, অর্ধেক বেতন দিয়ে কি ভাবে বাসা ভাড়া দেব আর সংসার চালাবো? তাই প্লান করেছি পরিবার গ্রামে পাঠিয়ে দেব। শহরের স্কুলে বাচ্চাদের বেতন বেশী, ঠিক করেছি ওদেরকে গ্রামের স্কুলেই ভর্তি করিয়ে দেব। আর তা না হলে ওদের মা না হয় বাচ্চাদের বাড়ীতে পড়াবে।
একটু থেমে কি যেন একটা ভাবল মেরু শীল।
-আর আমি অফিসের পাশেই শেয়ার করে একটা রুম নিয়ে নেব।
সব মেনে নিয়ে মেরু চন্দ্র এত সহজে কথাগুলো বলছে কি করে! ভাবল মাহিম।
-আয়ের সাথে সংগতি রেখেই তো খরচ করতে হবে। আর মন্দা কাটতে বোধহয় সময় লাগবে। সব অফিসেই একই অবস্থা। আমার কিছু বন্ধুদের সাথে কথা বললাম ওরাও আমার মতই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
-ঠিক আছে, তুমি যাও মেরু।
মেরু শীল সব মিলে বড়জোর মাহিমের বিশ ভাগের এক ভাগ বেতন পায়। মাহিমের মত তারও দুটো বাচ্চা নিয়ে সংসার। ওরা দুজনেই ভাড়া বাড়ীতে থাকে।
মাহিমকে প্রায় দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কত দিন মেরুকে বলেছে অফিস ছুটির পর বাসায় চলে যেতে। কিন্তু মাহিম অফিসে থাকা পর্যন্ত ও থাকে। বলেও কোন লাভ হয়নি। একদিন বিরক্ত হয়ে ওকে বকা দিয়েছিল মাহিম। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।
সন্ধ্যার পর কাজ করলে মাহিম কিছু খাবার আনিয়ে নেয়। মেরুর জন্যও খাবার আনে। মেরু কৃতজ্ঞ বদনে খাবার খায় কিন্তু মাহিম না খাওয়া পর্যন্ত খাবারে হাত লাগায় না।
একদিন সন্ধ্যার পর খাবার খেতে খেতে মেরুকে ওর পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে সব জেনেছিল মাহিম। সেদিন ও অনেক কথাই বলেছিল।
-স্যার, এই চাকরীটার জন্যই আমি বিয়ে করে সংসার করতে পেরেছি। এ চাকরি ছাড়া আর কোন গত্তান্তর নেই আমার। বাবার ভিটেই এক টুকরো জাগার উপর একটা ঘর ছাড়া আমার আর কিছু নেই। বাবা চোখ বুজার আগে আমাদের তিন ভাইকে ভিটের জায়গা ভাগ করে দিয়েছিলেন। আমার বড় দুই দাদা গ্রামের বাজারে চুল কাটার কাজ করে। ওরা বাবার পেশাই বেছে নিয়েছে। কিন্তু ওই কাজটা আমার কোন দিনই পছন্দ না। বাবা আমাকে গ্রামের এক জ্যাঠার হাত ধরে শহরে পাঠিয়েছিল সেই ছোট কালে। তিনিই আমাকে এই কোম্পানিতে এই চাকরীটা দিয়েছিলেন।
-এই চাকরীটাকে আমার স্ত্রী ভগবানের দান ভেবে কোম্পানির উন্নতির জন্য রোজ সন্ধ্যাই শাঁক বাজিয়ে পুজো দেয়।
বেতন অর্ধেক হয়ে যাওয়াই মাহিম কি করবে তা ভেবে কুল কিনারা করতে পারছে না। ওর যে জমানো টাকা আছে তা দিয়ে কোন কাজ না করেও বছর খানেক অন্তত চলে যাবে কিন্তু মেরু যে বেতন পায় তাতে জমানো তো দূরের কথা মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে টানাটানি শুরু হয়। তবুও ওর মনে এত জোর এল কোথা থেকে! ভাবতে অবাক হল মাহিম।
-স্যার, আমি বিশ্বাস করি; যা হয়েছে তা ভালোই হয়েছে, যা হচ্ছে তা ভালোই হচ্ছে, যা হবে তা ভালোই হবে।
মেরু কর্মকারের কথাই এতক্ষণে মাহিম একটু স্বাভাবিক হয়ে উঠলো। মনেও একটু জোর অনুভব করলো।
খোলা জানালা দিয়ে বাতাস ঢুকে কাপড়ের পর্দাগুলো ঠেলাঠেলি করছে ভিতরে ঢুকবে বলে। কি ভেবে মাহিম উঠে গেল পর্দা টেনে দুপাশে সরিয়ে দেয়ার জন্য যাতে রুমের ভিতর বাতাস ভালভাবে ঢুকতে পারে।
পায়ে পায়ে মাহিম এগিয়ে জানালার ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে পর্দা সরিয়ে দিতেই বেশ আলো ঝলমলে বাইরেটা নজরে পড়ল। বেশ ভাল লাগলো মাহিমের।
এর আগেও সে জানালার পাশে দাড়িয়েছে কিন্তু কখনো বাইরেটা এত আলো ঝলমলে দেখেনি। ভিতরটা অন্ধকার বলেই বোধহয় এমন বোধ হচ্ছে। ভাবল মাহিম।
আম গাছের ডালপালা গুলো এত ঘন যে জানালার ধার ঘেঁসে আলো না পড়াই জায়গাটা স্যাঁতসেঁতে হয়ে গিয়েছে দেখে একবার এ্যাডমিন অফিসারকে বলেছিল গাছের কিছু ডাল কেটে ছেটে ফাঁকা করে দিতে যাতে করে রোদ পড়তে পারে। জানালার পাশ দিয়ে বেশ কিছু ফুলের চারা লাগান আর সেগুলোতে নিয়মিত পানি আর সার দেয়ার জন্য হৃষ্টপুষ্টও বটে কিন্তু সূর্যের আলো না পড়াতে ফুল আসতো না দেখে সে ডালগুলো কেটে ফাঁকা করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু কি একটা অজুহাতে এ্যাডমিন অফিসার ডালগুলো কাটেনি।
কিন্তু আজ সেখানে সূর্যের আলো পড়তে দেখে একটু অবাক হল মাহিম।
গত রাতের ঝড়ে ঝাকড়া হয়ে নুয়িয়ে পড়া গাছগুলো অতিরিক্ত ডাল পালা আর ঝুলন্ত আমের থোকার ভারমুক্ত হয়ে মুল ডালগুলো হাল্কা পাতলা হয়ে যাওয়াই মাজা সোজা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর সে ফাঁক দিয়েই সূর্য হাসতে হাসতে উঁকি দিচ্ছে।
মাহিমের কেন জানি মনে হল অতিরিক্ত শাখা প্রশাখা আর তার সাথে ঝুলে থাকা আমগুলো হারিয়ে গাছটার মধ্যে তেমন কোন মন খারাপের হাবভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না বরং ঝড়ের পর অবশিষ্ট যে আমগুলো ডালে ঝুলে আছে সেগুলোকে সূর্যের আলোতে ভালভাবে পরিপুষ্ট করার কাজে মন দিয়েছে গাছগুলো।
মাহিম জানালা দিয়ে ভাল করে উঁকি দিতেই দেখল গাছের নিচে অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। ছোট বড় আম সহ ছোট বড় অনেক গুলো ডাল ভেঙ্গে পড়ে আছে। মাহিম বুঝল ডাল ছাটার কাজটা গত রাতের ঝড়টা করে দিয়েছে।
এ সময়টাতে প্রতি বছরই কম বেশী ঝড় হয় তাতে অনেক অপরিপক্ক আম ঝরে পড়ে, চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু কি করা প্রকৃতির এই নৈমিত্তিক নিয়মের কাছে মাথা নত করে ক্ষতি মেনে নিয়ে সে ভাবে হিসেব কষে জীবন এগিয়ে যায়।
-আচ্ছা, মা গাছ কি নিচে লুটিয়ে পড়ে থাকা আমগুলোর কথা চিন্তা করছে!
মাহিম সেদিকে তাকিয়ে ভাবনার জগতে ডুবে গিয়েছিল। হটাৎ দুটো পাখীর কিচিরমিচির শব্দে সম্বিত ফিরে পেল।
দুটো শালিক পাখী ডাল থেকে নেমে মাটি আঁচড়ে ঠোকর দিয়ে দিয়ে খাচ্ছে আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। একটু দূরে এই ফ্যাক্টরির কলোনির কয়েকজন ছেলেমেয়ে ভেঙ্গে পড়া ডালগুলো কুড়োচ্ছে। ওদের দেহ ভঙ্গিমায় হাসি খুশী ভাব। ঝড়ে ডাল পালা ভাঙ্গার ফলে তাদের জ্বালানী কাঠের জোগান হয়েছে আর সাথে ওরা ঝরে পড়া আমও কুড়চ্ছে ওরা।
ঘটনা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ঝড়ের ফলে আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে মনে হলেও অপরিপক্ক আম সহ শাখা প্রশাখা হারিয়ে গাছগুলোকেও যেমন হাসিখুশি মনে হচ্ছে, তেমনি কলোনির ছেলেমেয়ে গুলোর জন্যও যেন কিছু বাড়তি সুবিধা হয়েছে।
মাহিমের নজরটা শালিক দুটোর দিকে আটকে গেল। ওরা দুজন মিলে যেখানে ঠুকরাচ্ছে তার অদূরেই পাখীর ভেঙ্গে পড়া একটা বাসার দিকে মাহিমের নজর পড়ল। একটু ভাল করে লক্ষ্য করতেই মাহিম দেখল বাসার সাথেই ডিম ভেঙ্গে দুটো আধা ফুটন্ত বাচ্চা মরে পড়ে আছে। পাখী দুটো ইতস্তত ভাবে ভেঙ্গে পড়া বাসা আর অফুটন্ত মরা বাচ্চা দুটোর গায়ে মাঝে মাঝে ঠোকর দিচ্ছে।
মাহিম ভাবল এটা বোধহয় ওদেরই বাসা আর বাচ্চা দুটোও ওদের।
কথাটা ভেবে কষ্টে মনটা ভরে গেল মাহিমের। মনে হল প্রাকৃতিক নিয়মগুলো কি নিষ্ঠুর!
একদিনের ঝড়ে কত ফুল সহ গুটি আম অঙ্কুরেই বিনষ্ট করলো। আর পাখী বাচ্চা দুটোকে জন্মের আগেই মেরে ফেলল! পাখী দুটোর বাসাও ভেঙ্গে দিল প্রকৃতি!
এ সব ভেবে দুঃখে ভারাক্রান্ত হল মাহিমের হৃদয়।
আবারো পাখী দুটোর কিচির মিচির শব্দে সম্বিত ফিরল মাহিমের। ভাবল এই ডাকগুলো কি ওদের কান্নার শব্দ! পাখীরা কি এভাবেই কাঁদে!
পাখী দুটোর দিকে তাকিয়ে ভাবছিল মাহিম।
পাশেই ছোট্ট একটা নিচু জায়গায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পাখী দুটো ওদের ডানা ভিজিয়ে গায়ের সব ধুলো কাদা ধুয়ে নিয়ে টুপ করে উড়ে গাছের ডালে বসে বেশ কয়েকবার ডানা ঝাকি দিয়ে গা থেকে পানি ঝেড়ে নিল। তারপর সূর্যের আলোই গাটা শুখিয়ে নিয়ে একদম ঝরঝরে তকতকে হয়ে ফুড়ুৎ করে উড়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেল।
মাহিমের মনটাও একদম হালকা হয়ে গেল। সেও পাখী দুটোর মত সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে চেয়ারে এসে বসলো।
-মাহিম তোমারতো বাসাই ফেরার সময় হল। আমি সব শুনেছি, চিন্তা করোনা অর্ধেক বেতনে কি ভাবে আমরা চলব তার একটা ছক আমি করে ফেলেছি। তুমি ফিরলে দুজনে বসে আলোচনা করে সব ঠিক করে ফেলব।
মাহিম ওর স্ত্রীর টেলিফোনটা পেয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস টেনে বাড়ি ফেরার জন্য উঠে দাঁড়ালো। ভাবল –জীবনটা প্রকৃতই মেনে নিয়ে মানিয়ে নেয়া।